উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ রবিবার বিকেলে বিধ্বংসী ঝড়ে লন্ডভন্ড জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তির্ণ এলাকা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এদিন রাতেই জলপাইগুড়ি জেলায় পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হতাহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পাশাপাশি জলপাইগুড়ি হাসপাতালেও যান ঝড়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করতে। মমতার এই জলপাইগুড়ি কর্মসূচি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক আক্রমণ। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে রবিবার রাতেই একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, উত্তরবঙ্গের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাবতীয় উদ্বেগ বা দরদ ভুয়ো।
এদিন তিনি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন অমিত মালব্য। সেই ছবিতে দেখা যায় বিজেপির লোকসভা প্রার্থী জয়ন্ত রায় হাসপাতালে গিয়েছেন এবং মনোজ টিগ্গা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলছেন। এই ছবি প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে মালব্য লেখেন, ‘ঝড়ের পরপরই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছে গিয়েছেন বিজেপির আলিপুরদুয়ারের প্রার্থী মনোজ টিগ্গা এবং জলপাইগুড়ির প্রার্থী জয়ন্ত রায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাঁদের পাশে থেকেছেন। তাঁদের জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী খোঁজ নিয়েছেন। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেখানে গিয়ে লাভ কি? এটা তো স্পষ্ট যে উত্তরবঙ্গের প্রতি মমতার দরদ পুরো লোকদেখানো। উত্তরবঙ্গের প্রতি রাজ্যের বঞ্চনার বিষয়টি বঙ্গ বিজেপি তুলে ধরার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটে গিয়েছেন রাজনৈতিক ফয়দা নিতে।’
এদিকে গতকাল রাতে জলপাইগুড়ির ঝড় নিয়ে শোকপ্রকাশ করে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি-ময়নাগুড়ি এলাকায় ঝড়ের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু পরিবার। এই ঝড়ে অনেকেই তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। আপনজনহারা সেই মানুষদের প্রতি আমি আমার সমবেদনা ব্যক্ত করতে চাই।’ এই পোস্টের পর জলপাইগুড়ির প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন নরেন্দ্র মোদি। এক্স-এ করা পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আধিকারিকদের সঙ্গে আমি ইতিমধ্যেই কথা বলেছি। এই ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্তদের যাতে যথাযথ সহায়তা করা হয়, তা নিশ্চিত করতে বলেছি। আমি বাংলার সকল বিজেপি কর্মীদের অনুরোধ করব এই বির্পযয়ের সময় তাঁরা যেন ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করেন এবং তাঁদের পাশে থাকেন।’