কোচবিহার: চলতি মাসেই কোচবিহারে (Cooch behar) আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার রাসমেলার মাঠে সরকারি অনুষ্ঠানে থাকার কথা রয়েছে তাঁর। শুক্রবার রাসমেলা মাঠ পরিদর্শন করলেন জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মিনা। এছাড়াও ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক সৌমেন দত্ত সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। রাসমেলা মাঠের এক পাশেই এবিএন শীল কলেজের মাঠে হেলিপ্যাড তৈরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। রাসমেলা মাঠে সভার মঞ্চ ছাড়াও প্রায় ৩০টি সরকারি দপ্তরের স্টল থাকবে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। তার মধ্যে কোচবিহার শহরকে হেরিটেজ ঘোষণা, রাজবংশী ভাষার শতাধিক স্কুলের সূচনা, উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ৪৩টি ডিজেল বাসের উদ্বোধন ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা তুলে দেওয়া হবে।
লোকসভা ভোট (Loksabha election) ঘোষণা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এমন আবহে মুখ্যমন্ত্রীর কোচবিহার সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। মাস দেড়েক আগেই পাহাড়, ডুয়ার্সে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশের জেলা আলিপুরদুয়ারে এলেও ব্রাত্য রয়ে গিয়েছিল কোচবিহার। এতে কোচবিহারের তৃণমূল (Trinamool) নেতা-কর্মীরা কিছুটা হলেও হতাশ ছিলেন। যদিও এরপর কোচবিহারে আসবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। এবার সেই কথা রাখছেন।
কোচবিহার লোকসভা আসনটি এমনিতেই পদ্ম শিবিরের দখলে রয়েছে। শুধু দখলে থাকাই নয়, কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও বটে। রাম মন্দির নিয়ে গোটা দেশের পাশাপাশি কোচবিহারেও বিজেপির যে উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে, তাতে কিছুটা হলেও চিন্তায় পড়েছেন জেলার তৃণমূল নেতারা। এই অবস্থায় মমতা কোচবিহারে আসছেন এই খবর জানাজানি হতেই তৃণমূল নেতা-কর্মীরা যেন বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছেন।