উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ বুধবার দুপুরে পায়ে হেঁটে শ্যামবাজার থেকে সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি পর্যন্ত রোড–শো করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল এই পথেই উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের সমর্থনে হুডখোলা জিপে রোড–শো করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শ্যামবাজারের রাস্তা থেকে সিমলা স্ট্রিট পর্যন্ত মানুষের উচ্ছ্বাসের ছবি ধরা পড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড–শো’তে। মমতার সঙ্গে পা মেলালেন, দলের বিদ্রোহী নেতা কুণাল ঘোষ, উত্তর কলকাতা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী শশী পাঁজা। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বামীজীর বাড়িতে পা রেখে তাঁর মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
সম্প্রতি একটি জনসভায় ভারত সেবাশ্রম সংঘের এক সাধুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি নাম জড়িয়েছিলেন রামকৃষ্ণ মিশন ও ইসকনের। ১৮ মে আরামবাগের গোঘাটের নির্বাচনী জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমি আইডেন্টিফাই করেছি কে কে করেছেন। আসানসোলে একটা রামকৃষ্ণ মিশন আছে। আমি রামকৃষ্ণ মিশনকে কি হেল্প করিনি? সিপিএম যখন খাবার বন্ধ করে দিয়েছিল তখন কিন্তু আমি পুরো সমর্থন দিয়েছিলাম। মা–বোনেরা আসত। তারা তরকারি কেটে দিত। সিপিএম কিন্তু আপনাদের কাজ করতে দিত না।’ মমতার এই মন্তব্যের দুদিন পরেই শিলিগুড়ির সেবক রোডের রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলের চেষ্টা হয়। অপহরণও করা হয়েছিল সাধুদের। এই ঘটনায় তোপলাড় হয় গোটা বাংলা। বাংলায় এসে এই ঘটনার নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
টানা বেশ কয়েকটি ঘটনায় কিছুটা প্রলেপ দিতে এদিন রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতিষ্ঠানে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাস্তার দু’ধারে তখন কাতারে কাতারে মানুষের ভিড়। স্বামীজীর বাড়িতে পা রেখে তাঁর মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী। স্বামীজির বাড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা দেন রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীরা। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, ‘আপনিই আমাদের ভরসা। সংঘের অবস্থা ভাল নয়। স্বামীজির বাড়ির চারপাশে সৌন্দর্যায়ন ও মিউজিয়ামের জন্য যদি আর্থিক সাহায্য করেন, তাহলে ভাল হয়।’ সব শুনে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের জানিয়ে দেন, ‘আমি আপনাদের পাশে আছি।’