নিউজ ব্যুরো: তরুণীকে অপহরণ করে তাঁকে ১৪ বছর ধরে যৌনদাসী করে রাখার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মেয়েটিকে এই সময়ের মধ্যে তাঁকে ১ হাজারেরও বেশি বার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা পালিয়ে পুলিশের কাছে গিয়ে গোটা ঘটনা খুলে বলে। এরপরই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পশ্চিম রাশিয়ার চেলিয়াবিনস্কের ঘটনা।
নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চেলিয়াবিনস্কের বাসিন্দা ৫১ বছরের ভ্লাদিমির চেস্কিদভ। অভিযোগ, সে ২০০৯ সালে ১৯ বছরের (সেই সময়ের বয়স) ওই তরুণীকে অপহরণ করে তাঁকে বাড়িতে বন্দি করে রাখে অভিযুক্ত। মারধরের পাশাপাশি মেয়েটিকে অসংখ্যবার ধর্ষণ করা হয়। টানা ১৪ বছর ধরে চেস্কিদভ তরুণীকে যৌনদাসী করে রেখেছিল। নির্যাতিতার বর্তমান বয়স ৩৩। তাঁর অভিযোগ, ২০০৯ থেকে তিনি বন্দি এবং ১ হাজারেরও বেশি বার তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। নির্মমভাবে মারধর করা হত। অত্যাচারের থেকে রেহাই পেতে তিনি কোনও রকমে পালিয়ে পুলিশের কাছে যান। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ চেস্কিদভকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের মতে, চেস্কিদভের মা-ই নির্যাতিতাকে পালাতে সাহায্য করেছিলেন। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২০১১ সালে একই বাড়িতে অন্য এক মহিলাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগও রয়েছে। পুলিশ স্মোলিনো গ্রামে চেস্কিদভের একতলা বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সেক্স টয়, পর্নোগ্রাফির সিডি উদ্ধার করেছে। তার বাড়ির বেসমেন্টে একটি দেহও উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারী দল জানিয়েছে, চেস্কিদভ মানসিকভাবে অসুস্থ। পুলিশের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় একটি মানসিক হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।