নাগরাকাটা: হাতির হামলা থামার কোনও লক্ষ্মণই নেই ডুয়ার্সে। এবার কালীপুজোর রাতে দাঁতালের হামলায় মৃত্যু হল নাগরাকাটার খেরকাটা গ্রামের এক যুবকের। জখম হয়েছেন আরও একজন। বন দপ্তর জানিয়েছে, মৃতের নাম সন্দেশ ওরাওঁ (৩৫)। জখম বালাকরাম ওরাওঁ নামে আরেক যুবক বর্তমানে মালবাজার সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় শোকের ছায়া ডায়নার জঙ্গল ঘেরা গ্রামটিতে। এই নিয়ে গত এক মাসে নাগরাকাটা ব্লকে হাতির হামলায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৩-এ। জখমের সংখ্যা একাধিক। বন দপ্তরের ডায়নার রেঞ্জার অশেষ পাল বলেন, ‘মৃত্যুর ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। হাতির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে বনকর্মীদের প্রচেষ্টায় কোনও খামতি নেই। মৃতের পরিবারটি নিয়ম মোতাবেক ক্ষতিপূরণ পাবে। জখমের চিকিৎসাও দপ্তরের তরফেই করা হচ্ছে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীপুজোর রাতে সন্দেশ তাঁর নিজের বাড়ি থেকে বোন বৈজন্তীর বাড়িতে এসেছিলেন। দুই বাড়ির দূরত্ব মেরে কেটে ১০০ মিটার। বোনের বাড়িতে এসেই তিনি শুনতে পান পেছনের ধানখেতে দু’টি হাতি এসেছে। সন্দেশ ও বৈজন্তীদেরই আরেক প্রতিবেশী বালাকরাম মিলে হাতে সার্চ লাইট নিয়ে হাতি তাড়াতে যান। সেসময়ই অতর্কিতে একটি দাঁতাল তাঁদের দিকে তেড়ে আসে। সন্দেশকে গুঁতো দিয়ে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। বালাকরামও হাতিটির হামলায় জখম হন। এরপর সেখানে বেশ কয়েকটি সুপারি ও কলাগাছ লন্ডভন্ড করে দাঁতালটি ফের ধান খেতের দিকে চলে যায়। অন্য হাতিটি সেমসয় ধানখেতেই দাঁড়িয়ে ছিল। এরপর স্থানীয়রাই জখম অবস্থায় কোনওরকমে দু’জনকে উদ্ধার করে সুলকাপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সন্দেশকে ওই রাতেই মালবাজারে রেফার করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, বালাকরামকে সোমবার সকালে মালবাজার হাসপাতালে রেফার করা হয়।