প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত, নয়াদিল্লি: সোমবার নয়াদিল্লির জনপথে স্থিত হ্যাণ্ডলুম হাটে উদ্বোধন হল নবম বাংলা আম মেলার। শাহী দিল্লির আম-রসিকদের জন্য ১৫ দিনের এই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব ড. সুব্রত গুপ্ত, নয়াদিল্লিস্থিত বঙ্গীয় প্রশাসনিক দপ্তরের রেসিডেন্ট কমিশনার উজ্জয়িনী দত্ত এবং ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রির ডিরেক্টর জয়ন্তকুমার আইকত৷
উল্লেখ্য প্রতিবছরের মতো এবছরেও জনপথের হ্যাণ্ডলুম হাট জুড়ে শোভা পেল বাংলার স্বনামধন্য হিমসাগর, লক্ষণভোগ, ল্যাঙরা, ফজলি, আম্রপালি, মল্লিকা, কোহিতুরের মতো আমের পসরা৷ মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগণার মতো ৬ টি জেলা থেকে আম বিক্রেতারা বাছাই করা আম হাজির করেছেন দিল্লির দরবারে। ইতিমধ্যেই সেখানে নজর কেড়েছে মালদার লক্ষণভোগ, হিমসাগর, ফজলির মতো সুস্বাদু আমগুলি৷ আম্র উৎসবের প্রথমদিনেই প্রত্যাশিতভাবে উপচে পড়ে দিল্লির ‘আম-রসিক’দের ভিড়৷ ১৫ দিনের এই আমের মেলায় পাওয়া যাচ্ছে আম কেক, আম সরবত, আমের পেস্ট্রি, আমের কাবাবের মতো লোভনীয় সব পদও৷ পাশাপাশি থাকছে টেরাকোটার কাজ, ডোকরা, পটচিত্র, পুরুলিয়ার ছৌ মুখোশ, কুশমন্ডির কাঠ, মাদুরকাঠি, শান্তিনিকেতনী ব্যাগ, শান্তিপুরি-ধনেখালি শাড়ির মতো বাংলার সুপ্রসিদ্ধ হস্তশিল্পের সম্ভার৷ থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। মেলার উদ্বোধনের মাধ্যমে দিল্লির আম-রসিকদের স্বাগত জানিয়ে রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব ড. সুব্রত গুপ্ত জানিয়েছেন, বাংলায় আম চাষে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বহু অপরিচিত আমের চাষ শুরু হয়েছে রাজ্যে। এর মধ্যে অন্যতম জাপানের ‘দুস্প্রাপ্র’- মিয়াজাকি আমের অনুকরণে ‘সুন্দরিনী’র চাষ, যে আমের দাম প্রতি কিলো প্রায় দেড় লাখ টাকা। শিগগিরি সে সব আমও হাজির করা হবে বাংলার মানুষ-দের জন্য, আম আসবে দিল্লিতেও। রাজধানীতে এই আমের মেলা চলবে আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত৷