মানিকচক: মাধ্যমিকে (Madhyamik Exam 2024) একের পর এক প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় শিরোনামে মালদা (Malda) জেলা। এর জেরে এবার মানিকচকের আরও এক ছাত্রীর পরীক্ষা বাতিল করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। গত শনিবার ইংরেজি পরীক্ষার দিন এই ছাত্রীটির প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইংরেজি প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য এই ছাত্রীকে মূল অভিযুক্তের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। অভিযুক্ত ছাত্রীটি মানিকচকের গোপালপুর হাইস্কুলের ছাত্রী। সোমবার মানিকচকের এনায়েতপুর উচ্চবিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে এলেও পর্ষদের নির্দেশমতো ছাত্রীটিকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। নির্দিষ্ট নথিতে স্বাক্ষর করিয়ে ছাত্রীটিকে পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। তবে অভিযুক্ত ছাত্রী ও তার পরিবারের লোকজনের দাবি, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সে কোনওভাবে জড়িত নয়। তাকে ফাঁসানো হয়েছে। ন্যায় বিচার পেতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার হুমকি দিয়েছেন ছাত্রীটির বাবা।
গত শনিবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে মানিকচকের (Manikchak) এনায়েতপুর হাইস্কুলে। এই কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোট সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং কমিটির কর্তারা। ঘটনায় সাতজন পরীক্ষার্থীকে আটক করে মানিকচক থানার পুলিশ। একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই সাত ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষা বাতিল করে দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ঘটনায় পর্ষদের তরফে তদন্ত চালিয়ে বিকৃত করা কিউআর কোড উদ্ধার করা হয়। আর সেই প্রশ্নপত্র এই ছাত্রীর বলে পর্ষদ জানতে পারে। এরপরই তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়। পরীক্ষা বাতিলের পাশাপাশি ছাত্রীটির অ্যাডমিট কার্ডও বাজেয়াপ্ত করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এনায়েতপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা মানিকচক ব্লকের মাধ্যমিক পরীক্ষা ব্যবস্থার সেন্টার সেক্রেটারি মহম্মদ বাদীউজ জামান জানিয়েছেন, প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় এই ছাত্রীর যোগ পেয়েছে পর্ষদ। তাই এই ছাত্রীর পরীক্ষা বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।