সামসী: শাসকদলে টিকিট পেতে হলে দিতে হবে লক্ষাধিক টাকা, তবেই পাওয়া যাবে তৃণমূলের টিকিট। এই অভিযোগ তুলে এবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন মালতীপুরের গৌড়হন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ প্রধান সহ পাঁচ শতাধিক কর্মী। পঞ্চায়েত ভোটের আগে মনোনয়নের তৃতীয় দিনে এই যোগদান বিশাল প্রভাব পড়েছে মালতীপুরে। যার ফলে চরম অস্বস্তিতে শাসকদল। সোমবার দুপুরে যোগদান সভাটি অনুষ্ঠিত হয় মালতীপুরে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সম্পাদক নির্মলচন্দ্র মণ্ডল, বিজেপি নেত্রী মৌসুমী মণ্ডল।
প্রধান ডলি মণ্ডল ও উপপ্রধান পঞ্চানন দাস গত পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির টিকিটে জিতেই সদস্য হয়েছিলেন। বিজেপির সঙ্গে আড়াই ঘর করার পর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন। শাসকদলে এসেই বাজিমাত। প্রধান হন ডলি মণ্ডল ও উপপ্রধান পঞ্চানন দাস। এরপর আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ছেড়ে এদিন শাসকদলে যোগদান করেন। দল ছাড়ার পর প্রধান ডলি মণ্ডল জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেসে অনেক সমস্যা। এই দলে কোনও নিয়ম নীতির ঠিক নেই। এতদিন এই দলে থেকে দম বন্ধ হয়ে আসছিল। তাই একটু শান্তিতে থাকতে চাই। তাই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি।
তবে চাঁচল-২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই এর দাবি, এবার তৃণমূল কংগ্রেসে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষদের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। ওরা দুজন এবার টিকিট পাবেন না আন্দাজ করেই ছেড়েছেন। এদিকে বিজেপি টিকিটের প্রলোভন দেখিয়ে যোগদান করিয়ে ভোটের বাজার গরম করতে চাইছে বলেও অভিযোগ তৃণমূলের। কিন্তু এলাকায় বিজেপির তেমন কোনও প্রভাব নেই। তাদের এই দলত্যাগে তৃণমূল কংগ্রেসে কোনও প্রভাব পড়বে না।
এবিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বকসি জানিয়েছেন, এবার ওরা কেউই আর টিকিট পাবেনা শাসকদলের তরফে। তাই টিকিট পাওয়ার লোভেই বিজেপিতে গিয়েছেন। এতে দলের ওপর তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না।