মাথাভাঙ্গাঃ মাথাভাঙ্গা শহরে বেশ পসার জমিয়েছে বেশ কয়েকটি ঝাঁ চকচকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রেস্তোরাঁ। বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে সেখানে গ্রাহকদের দেওয়া হচ্ছে বাসি পচা ও মেয়াদ উত্তীর্ণ উপকরণ দিয়ে তৈরি হচ্ছে রকমারি খাবার। গ্রাহকরাও না জেনেই দাম দিয়ে সেই সব খাবার খেয়ে নিচ্ছেন অবলিলায়। খবর পেয়ে এমনই বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁতে হানা দিলেন মাথাভাঙ্গা পুরসভার কর্মীরা। একইভাবে তাঁরা হানা দিয়েছেন মাথাভাঙ্গা ইমিগ্রেশন রোডের একটি নামি মিষ্টির দোকানে। সেখানেও মিলল মেয়াদ উত্তীর্ণ মিল্ক পাউডারের বস্তা ও মিষ্টি তৈরির রংয়ের কৌটো।
জানা গিয়েছে, গোপনসূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে, বুধবার শহরের ৩টি রেস্তোরাঁ এবং একটি মিষ্টির দোকানের কারখানায় হানা দেয় পুরসভার ফুড সেফটি অফিসার, মেডিকেল অফিসার, ভেক্টর কন্ট্রোল মনিটরিং অফিসার ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর। সঙ্গে ছিলেন মাথাভাঙ্গা পুরসভার চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামাণিক।
এদিন অভিযান রেস্তোরাঁ ও মিষ্টির দোকানের কারখানা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় তাঁদের। রেস্তোরাঁয় গিয়ে দেখেন সেখানে রয়েছে খাবার তৈরীর বাসি পচা ও মেয়াদ উত্তীর্ণ উপকরণ। সেগুলোকে বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য উপকরণগুলি পুরসভার পক্ষ থেকে নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয়। এই রেস্তোরার মালিককে পুরসভার পক্ষ থেকে নোটিশ ধরানো হয়েছে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান। তবে সেই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে শুধুমাত্র সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মাথাভাঙ্গা পুরসভার চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামাণিক জানান, এর আগেও ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছিল। এদিন ফের সতর্ক করে তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা নজরে এলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। একই অপরাধ করা সত্ত্বেও এবার কেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করল না মাথাভাঙ্গা পুরসভা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।