কোচবিহার: এখন থেকে আর ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে নয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে রোগীদের ওষুধ সরবরাহ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য নথিভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবন থেকে কোচবিহার এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এরকম পরিষেবা চালু করার একটি নির্দেশিকা এসেছে। নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রোগীকে কোন কোন ওষুধ দেওয়া হল তা তৎক্ষণাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহযোগিতায় কম্পিউটারে আপলোড করতে হবে। এতে কোথায় কত পরিমাণ ওষুধ দেওয়া হচ্ছে, কোন জায়গায় কোন ওষুধ প্রয়োজন সব তথ্য স্বাস্থ্য ভবন সরাসরি পেয়ে যাবে। সেই অনুযায়ী হাসপাতালগুলিতে ওষুধ পাঠানো হবে।
এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি ডাঃ রাজীব প্রসাদ বলেন, ‘সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে ওষুধের তথ্য পেয়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য ভবনে আর ওষুধ চাইতে হবে না। তালিকা দেখে তারা প্রয়োজনীয় ওষুধ পাঠিয়ে দিতে পারবে। সেই সঙ্গে রোগীদের বিলে ওষুধ খাওয়ার নিয়ম লেখা থাকবে এতে ওঁরা উপকৃত হবেন। ওষুধের জন্য সরকারিভাবে কত টাকার সাহায্য পেলেন তাও বুঝতে পারবেন।’
সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে রোগীরা ওষুধ পান। এবার নতুন নিয়মে সেই ওষুধের প্রিন্ট করা বিল মিলবে। অর্থাৎ রোগীকে লিখিতভাবে স্পষ্ট বুঝিয়ে দেওয়া হবে তিনি সরকারের কাছ থেকে মোট কত টাকার ওষুধ বিনামূল্যে পেলেন। আর এই পুরো প্রক্রিয়াটি এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) মাধ্যমে হবে। বর্তমানে এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বহির্বিভাগে প্রায় আড়াই হাজার রোগীকে প্রতিদিন ওষুধ সরবরাহ করা হয়। ওষুধ দেওয়ার পাঁচটি কাউন্টার রয়েছে। কিন্তু ফার্মাসিস্ট মাত্র তিনজন। তাঁরা কোনও প্রকারে কাজ সামলাচ্ছেন। প্রতিদিন ওষুধ নেওয়ার জন্য অনেক ভিড় হয়। সেখানে কমবেশি ২৫০ রকমের ওষুধ দেওয়া হয়। রোগীকে দেখার পর চিকিৎসকরা একটি কাগজে ওষুধের নাম লিখে দেন। সেই কাগজ জমা রেখে কাউন্টার থেকে ওষুধ দেওয়া হয়। ফার্মাসিস্টরা ভিড়ের মাঝে রোগীদের কোনও রকমে বুঝিয়ে দেন কোন ওষুধ কীভাবে খেতে হবে। তবে অনেক রোগী তা ঠিকমতো বুঝতে পারেন না বলে অভিযোগ। কর্মীসংখ্যা কম থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কার্যত বিপাকে পড়েছে। ফলে কর্মী নিয়োগের পরই নতুন পরিষেবাটি চালু সম্ভব বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে।