উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ পাহাড়ের বন্যা পরিস্থিতি দেখে রবিবারই কলকাতায় ফিরেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আবাস ও ১০০ দিনের বকেয়া আদায়ে বঞ্চিতদের ৫০ লক্ষ চিঠি সিভি আনন্দ বোসের হাতে তুলে দিতে চায় তৃণমূল নেতৃত্ব। কলকাতা পৌঁছে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন সাক্ষাতের জন্য কোনও অনুরোধ আসেনি তাঁর কাছে। তবে সূত্রের খবর সোমবার বিকেলেই রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের ‘বঞ্চনা’র অভিযোগ তুলে রাজভবনের সামনে ধর্না চালিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের ধর্না চলছে রাজভবনের উত্তর গেটের কাছে। মঞ্চ বেঁধে ধর্না কর্মসূচি চলিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্যপালের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় বকেয়া আদায়ের দাবি কেন্দ্রের দুয়ারে পৌঁছে দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ অভিষেক। কিন্তু একাধিক কর্মসূচীতে রাজ্যপাল রাজ্যের বাইরে থাকায় সিভি আনন্দ বোসের দেখা মেলেনি রাজভবনে। তবে শনিবারই দার্জিলিংয়ে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসেছেন তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। পাহাড়ের বন্যা পরিস্থিতি দেখে রবিবার বিকেলেই রাজভবনে ফিরলেন রাজ্যপাল বোস। তৃণমূল সূত্রে খবর, এর পরেই রাজভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন দলীয় নেতৃত্ব। এর পরেই রাজ্যপাল এবং অভিষেকের মধ্যে বৈঠকের দিনক্ষণ স্থির হয়। সবকিছু ঠিক্টহাক থাকলে সোমবার বিকেলেই সাক্ষাৎ হতে চলেছে রাজ্যপাল ও অভিষেকের মধ্যে।
এদিকে সূত্রের খবর, রাজ্যপাল কলকাতায় ফেরার পর রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতির কথা বলে তৃণমূলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চেয়েছেন আনন্দ বোস। তিনি বলেছেন, আগে আইনশৃঙ্খলা ঠিক হোক তার পর সাক্ষাৎ করা যাবে।
এদিকে রাজভবন চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও কেন তৃণমূলের ধর্না চলছে রাজভবনের উত্তর গেটে? রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর কাছে এই কৈফিয়ত চেয়ে নবান্নে চিঠ পাঠিয়েছে রাজ্যপাল। রাজ্যপাল জানতে চেয়েছেন, কোন আইনে ধর্নার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তৃণমূলকে? যদি অনুমতি ছাড়াই ধর্নামঞ্চ বাঁধা হয়ে থাকে এবং তিন দিন ধরে বিক্ষোভ জমায়েত চলতে থাকে তবে পুলিশ এখনও পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে? এই সব প্রশ্নের দ্রুত সম্ভব জবাব দিতে বলেছে রাজভবন।
এই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেছেন, ‘‘২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সাত বার ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে কর্মসূচি করেছে বিজেপি। একাধিক বার বিজেপি বিধায়করা মিছিল করে রাজভবনে গিয়েছেন। রাজভবনের বাইরে ভিড় করে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। তখন রাজ্যপালের দায়িত্ব কোথায় ছিল? তখন রাজ্যপাল পুলিশকে চিঠি দেননি। অথচ তৃণমূলের কর্মসূচির সময় আলাদা অবস্থান। রাজ্যপালকে মনে রাখতে হবে তিনি বাংলার রাজ্যপাল। তাঁর বিজেপির প্রতি দায়বদ্ধ না থেকে বাংলার প্রতি দায়বদ্ধ হওয়া উচিত।’’