উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ অনন্তনাগে থেমে গিয়েছে গুলির লড়াই। জম্মু-কাশ্মীরের এই অনন্তনাগে এখন শুধুই বিরাজ করছে নিস্তব্ধতা। গত পাঁচদিন ধরে জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। মুহুর্মুহু মর্টার, রকেট লঞ্চার, গুলির লড়াইয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হয়েছিল এই পাহাড়ি অঞ্চলে। জঙ্গি সেনার লড়াইয়ে প্রাণ গিয়েছে ভারতীয় সেনার দুই কর্তা সহ এক পুলিশ আধিকারিকের। রবিবারই জঙ্গি ঘাঁটির দখল নিয়েছে সেনা। চলছে জোর তল্লাশি। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে এক জঙ্গির দ্বগ্ধ দেহ। অনুমান করা হচ্ছে বাকি জঙ্গিরা পালিয়েছে।
টানা ১০০ ঘন্টা পর রবিবার সকালেই থেমে গিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গিদের সঙ্গে ভারতীয় সেনার গুলির লড়াই। চারদিকে এখন যেন শ্মশানের নিস্তব্ধতা। ড্রোনের মাধ্যমে পাহাড়-জঙ্গলে তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা। জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশিতে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, ড্রোন উড়িয়ে এক জওয়ানের দেহ জঙ্গলের এক দিকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। ড্রোন থেকে তোলা ছবি দেখে দেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। অন্য এক জঙ্গির দেহও ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। জঙ্গীর দেহটি উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে সেনা। তার পোশাক দেখে সেনার ধারণা, সে জঙ্গি। ওই জঙ্গলে জঙ্গিদের সম্ভাব্য ডেরার কাছেই দেহটি পড়ে ছিল। মনে করা হচ্ছে, বাকি জঙ্গিরা পালিয়েছে। যারা পালাতে পারেনি, তাদের দেহ জঙ্গলেই কোথাও পড়ে আছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, অনন্তনাগের প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকা কোকেরনাগ জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়েছিল পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তোইবার বেশ কয়েকজন জঙ্গি। ভারতীয় সেনার ওপর হামলার ছক কষেছে তারা। সেই মতোই সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ায় সেনা। জঙ্গিদের মোকাবিলা করতে গিয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় ভারতীয় সেনাদের। কোকেরনাগ জঙ্গল ভারতীয় সেনা ঘিরে ফেললে জঙ্গিরা আশ্রয় নেয় উঁচু পাহাড়ের গুহায়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, পাহাড়ি এবং দুর্গম অঞ্চলে লড়াই করার জন্য এই জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। অনেক দিন আগেই ওই পাহাড়ে ডেরা বানিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ যে গুহায় তারা আশ্রয় নিয়েছে, সেখানে দীর্ঘ দিন ধরে লড়াই চালানোর রসদও মজুত করা হয়েছে বলে সেনা মনে করছে। সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা নিয়েই জঙ্গি সংগঠনটি ঢুকে পড়ে ভারতের সীমানায়। সেখানে মর্টার এবং রকেট লঞ্চার দিয়ে এক নাগাড়ে হামলা চালিয়েছে সেনা। ১০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলেছে সেই সংঘর্ষ। নামাতে হয়েছে প্যারা কমান্ডোও।