উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলার হিরানগরী গ্রামে হামলা চালানোর আগে গ্রামবাসীদের বাড়িতে গিয়ে জল খেতে চেয়েছিল দুই জঙ্গি। তবে সতর্ক গ্রামবাসীদের সন্দেহ হওয়ায় জঙ্গিদের মুখের উপরে দরজা বন্ধ করে দেন তাঁরা। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই এক বাসিন্দার বাড়িতে ঢুকে গুলি চালায় ওই জঙ্গিরা।
কাঠুয়ায় জঙ্গি হামলার পুরো ঘটনার বিবরণ দেওয়ার সময় কাশ্মীর পুলিশ জানায়, ‘জঙ্গিরা বেশ কয়েকটি বাড়িতে গিয়ে জল চেয়েছিল। কিন্তু তাদের দেখে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের। জঙ্গিদের মুখের উপরেই তাঁরা দরজা বন্ধ করে দেন। গ্রামের মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়তেই হইচই পড়ে যায়। জঙ্গিরা আতঙ্কিত হয়ে আকাশের দিকে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। এতে এক গ্রামবাসী গুলিবিদ্ধ হন।‘
মঙ্গলবার রাতে কাঠুয়া জেলার হিরানগরীর সাইদা সুখল গ্রামে ঢুকে পড়ে দুই জঙ্গি। এক গ্রামবাসীর বাড়িতে ঢুকে গুলি চালায় তারা। সেই ঘটনায় এক জন গ্রামবাসী আহত হন। এর পরেই ওই দুই জঙ্গিকে খুঁজে বার করতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। এদের মধ্যে এক জঙ্গিকে মঙ্গলবার রাতেই নিকেশ করা হয়। জওয়ানদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়ার চেষ্টা করছিল ওই জঙ্গি। তখনই বাহিনীর গুলি লাগে তার গায়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। অন্য জঙ্গিকে খুঁজে বার করতে সারা রাত ধরে তল্লাশি চলে। এর পর বুধবার বেলার দিকে বাহিনীর গুলিতে মারা যায় দ্বিতীয় জনও। এই অভিযানে জঙ্গিদের চালানো গুলিতে আধাসামরিক বাহিনীর এক জওয়ানও নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে ডোডায় একটি সেনাঘাঁটিতেও হামলা চালায় জঙ্গিরা। সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলে। এই হামলায় দু’জন সেনাকর্মী আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত তিন দিনে জম্মু ও কাশ্মীরে পর পর তিন বার জঙ্গি হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে এল। দিন দুয়েক আগে জম্মুর শিবখড়ি মন্দির থেকে কাটয়ায় বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরের যাওয়ার পথে পুণ্যার্থী বোঝাই বাসে হামলা চালায় জঙ্গিরা। হামলার জেরে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গড়িয়ে খাদে পড়ে যায়। মৃত্যু হয় ১০ জনের। আহত হন প্রায় ৪০ জন।