নাগরাকাটা: কিলো প্রতি চায়ের গড় দাম ২৫০ টাকা না মিললে বর্তমান পরিস্থিতিতে চা শিল্পের টিকে থাকা কঠিন। চা বণিকসভা টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার (টাই) উত্তরবঙ্গ শাখার ৫২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এমন কথাই উঠে এল। শনিবার নাগরাকাটার ইউরোপিয়ান ক্লাবে ওই সভা হয়েছে। টাই জানিয়েছে, গত ৭ বছরে শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে ৮৯ শতাংশ। সেখানে চায়ের দাম বৃদ্ধির হার মোটে ২৯ শতাংশ। সভায় জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষে উপস্থিত অতিরিক্ত জেলা শাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) প্রিয়দর্শিনী ভট্টাচার্য তাঁর ভাষণে প্রস্তাব রাখেন চা বাগানে যে সমস্ত সরকারি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ চলছে সেগুলি আরও ভােলাভাবে দেখার জন্য বাগান পরিচালকদের পক্ষে একজনকে নোডাল অফিসারের দায়িত্ব দেওয়ার।
টাই-এর সভাপতি সন্দীপ সিংহানিয়া বলেন, ‘চা শিল্পের পরিস্থিতি বর্তমানে নানা কারণে সঙ্গিন। সরকার, মালিক, শ্রমিক সমস্ত পক্ষ মিলে একজোট হয়ে সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজে বের করাই এখন সবচেয়ে জরুরি।’ প্রশাসনের পক্ষে সরকারি প্রকল্পগুলির সুফল চা বাগানের বাসিন্দাদের মধ্যে আরও নিবিড়ভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য নোডাল অফিসারের প্রস্তাবকে টাই স্বাগত জানিয়েছে।
সন্দীপ বলেন, ‘বাগানগুলিতে আগে থেকেই শ্রমিক কল্যাণ আধিকারিক পদে লোক রয়েছে। তাঁরা আবাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মতো নানা দিক দেখেন। চা বাগানে চালু থাকা সরকারি আরও নানা প্রকল্পের বিষয়গুলিও ওই আধিকারিকরাই নোডাল অফিসার হিসেবে সহকারী বা ডেপুটি লেবার কমিশনারের মতো সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে সংযোগ রেখে দেখভাল করলে তা আরও ভােলা হবে।’ সভায় উপস্থিত টি বোর্ডের নির্দেশক এস সুন্দররাজন বলেন, ‘চায়ের চাহিদা বাড়াতে নানা ধরনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।’