সৌরভ কুমার মিশ্র, হরিশ্চন্দ্রপুর: ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন মন্ত্রী তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তজমুল হোসেন (Tajmul Hossain)। রীতিমতো লাঠি উচিয়ে প্রতিনিধি দলকে তাড়া করেন ভাঙন দুর্গতরা। যদিও এই ভাঙনের জন্য কেন্দ্রকেই দায়ী করেছেন মন্ত্রী।
মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর (Harishchandrapur) থানার ফুলহর নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় ভাঙন (River Erosion) অব্যাহত। আর এরইমধ্যে প্রায় চারদিন পরে ভাঙন কবলিত রশিদপুর গ্রাম পরিদর্শনে আসেন মন্ত্রী তজমুল হোসেন। সঙ্গে ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর ২-এর বিডিও তাপস পাল সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিক এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। সেই সময় এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতি বছর বন্যা এবং ভাঙনের সময় মন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তারা রশিদপুর অঞ্চলে ঘুরতে আসেন। প্রতিশ্রুতির পরেও কাজের কাজ কিছুই হয় না। কিছু বালির বস্তা এবং বাঁশ পুতে ভাঙন রক্ষার নামে কোটি কোটি টাকা লুট করেন এলাকার জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের কর্তারা। সরকারের তরফে পরিবার পিছু দুই কাঠা করে সংরক্ষিত এলাকায় জমি দেওয়ার দাবি জানান স্থানীয়রা।
যদিও মন্ত্রীর সাফ জানান, তিনি এই নিয়ে ইতিমধ্যেই উপর মহলে জানিয়েছেন। খুব তাড়াতাড়ি ভাঙন সমস্যার সমাধানে কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন। মন্ত্রীর দাবি, এত বড় ভাঙন রোধের কাজ কেন্দ্রের দেখা উচিত ছিল। এলাকার সাংসদ কোনও কাজই করেননি। এলাকার বাসিন্দারা তাই ক্ষোভ দেখিয়েছেন। বিডিও তাপস পাল জানান, বাসিন্দাদের ক্ষোভ সঙ্গত। তবে এত বড় ভাঙন রোধ করা ব্লক প্রশাসনের তরফে সম্ভব নয়। বিষয়টি জেলায় জানানো হয়েছে।
যদিও সাংসদ খগেন মুর্মুর পালটা দাবি, গঙ্গা এবং ফুলহর ভাঙন রোধে কেন্দ্রকে আবেদন করার জন্য রাজ্যের কোনও উদ্যোগ নেই। তিনি ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সেচ মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে তার আগে রাজ্যকে উদ্যোগী হতে হবে বলে তিনি জানান।