কুশমণ্ডি: সচেতনতাই সার। বোধদোয়ের কোনও বালাই নেই। দক্ষিণ দিনাজপুরে অব্যাহত নাবালিকার বিয়ে(Child Marriage)। সাধ ছিল অনেক দূর পড়াশোনা করবে। কিন্তু পরিবারের চাপে তা ভেস্তে যেতে বসেছে। তবে শেষ চেষ্টা করতে ছাড়েনি ওই নাবালিকা। নিজেই নিজের বিয়ে আটকাতে সোজা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দ্বারস্থ হয়েছে সে। প্রধান শিক্ষকের(Head Master) ঘরে ঢুকে কান্নায় ভেঙে পড়ে ওই অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। পরিস্থিতি দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন প্রধান শিক্ষক নিখিলকুমার হালদার। সমস্ত ঘটনা জানানোর পর, বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন জয়েন্ট বিডিও থেকে আইসি।
জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা(Minor) কুশমণ্ডি থানা এলাকার একটি গ্রামে মামার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে। মঙ্গলবার রাতে তার অমতেই বিয়ে ঠিক করা হয়। এই ঘটনায় মামা, মাসি এমনকি বাবাও জড়িত। প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, ‘গতকাল মোহর ছিল। কোনওভাবেই মেয়েটি নিজের বিয়ে বন্ধ করতে না পেরে স্কুলে আমার কাছে ছুটে এসেছে। এরপর ব্লক ও পুলিশ প্রশাসন সহ চাইল্ড লাইনে দ্রুত খবর পাঠিয়েছি।‘ এ প্রসঙ্গে কুশমন্ডির নোডাল অফিসার জয়েন্ট বিডিও রোহন বিশ্বকর্মা বলেন, ‘স্কুল থেকে ওই নাবালিকাকে মামার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর পাত্রের বাড়িতে গিয়েও মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে।‘ আইসি তরুণ সাহা বলেন, ‘এরপর ওই মেয়েটিকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।‘
পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের প্রবীণ বিজ্ঞানকর্মী রঞ্জিত নিয়োগী বলেন, ‘নাবালক নাবালিকার বিয়ে বন্ধের জন্য কড়া আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে এই সামাজিক অবক্ষয় আটকানো যাবে না। পাশাপাশি গ্রামে গ্রামে আরও বেশি করে সচেতন করতে হবে।‘