গঙ্গারামপুর: নদীতে তলিয়ে যাওয়া নাবালকের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম গোবিন্দ দাস (১৬)। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গঙ্গারামপুর থানার সুকদেবপুর দাসপাড়ায়।
জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে সুকদেবপুর দাসপাড়া গ্রামের তিন নাবালক গোবিন্দ দাস (১৬), সুমন দাস (১৬) ও নারায়ণ দাস (১৫) সহ পাঁচ বন্ধু গঙ্গার ঘাটে পুনভর্বা নদীতে স্নান করতে যায়। নদীতে সাঁতার দেওয়ার জন্য চার বন্ধু নৌকা থেকে ঝাঁপ দেয়। নদীতে জল বেশি থাকায় গোবিন্দ, সুমন ও নারায়ণ হাবু ডাবু খেতে থাকে। বিষয়টি নজরে আসে গঙ্গার ঘাটে নৌকাতে বসে থাকা রাজু রায় নামে এক যুবকের। এরপরেই রাজু তড়িঘড়ি নদীতে ঝাপিয়ে নারায়ণকে প্রথমে উদ্ধার করে। এরপর গোবিন্দকে কোনরকমে উদ্ধার করে নদীর কিনারে এনে একটি বাঁশ ধরিয়ে ছুটে যায় সুমনকে উদ্ধার করতে। সুমনকে উদ্ধার করে ফিরে এসে দেখে গোবিন্দ নদীর কিনারে নেই। এরপরে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। সুমন ও নারায়ণকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। গোবিন্দকে খুঁজে না পেয়ে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান গঙ্গারামপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ। নিঁখোজ নাবালকের খোঁজ শুরু করতে পুনভর্বা নদীতে নামানো হয় ডুবুরিকে। সেইসঙ্গে নদীতে স্পিডবোর্ড নামিয়ে চলছে শুরু হয় জোড় তল্লাশি। বুধবার রাত পর্যন্ত স্পিডবোর্ড দিয়ে ডবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালিয়েও খোঁজ মেলেনি। এদিন সকাল হতে এলাকার মানুষজন স্থানীয় পাঠানপাড়া এলাকায় নাবালকের দেহ ভাসতে দেখেন। খবর পেয়ে গঙ্গারামপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ ঘটনাস্থলে গিয়ে নাবালককে উদ্ধার করে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট সদর হাসপাতালে পাঠায়।