আলিপুরদুয়ার: বুধবার গভীর রাতে রাজ্যসভার সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি প্রকাশ চিকবরাইকের বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ। আলিপুরদুয়ার শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডের ভাড়া ফ্লাটে আচমকাই দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ৬ জনের একটি দল বুধবার রাত প্রায় বারোটা নাগাদ একটি চার চাকার গাড়ি ও একটি মোটর বাইক করে এসে প্রকাশবাবুর বাড়িতে আচমকাই হানা দেয়। ওই সময় বাড়িতে প্রকাশবাবু ছাড়াও কালচিনির দলের সভাপতি বীরেন্দ্র বাড়া ওরাওঁ সহ ৮ জন দলীয় নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
প্রকাশবাবু বলেন, ‘তিন মদ্যপ যুবক খোকন বলে কারওঁ খোঁজ করতে করতেই আচমকা আমার ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়ে। তারা আমাদের দলের এক কর্মীর উপর চড়াও হয়ে ঘুসি লাথি মারতে থাকে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ঘরে থাকা সকলে মিলেই ওই মদ্যপদের আটক করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। বাড়ির নীচে আরও তিনজন যুবক ছিল। তাদের কাছে ধারালো অস্ত্র ছিল বলেও জানা গিয়েছে। কেন আচমকা দুষ্কৃতীরা আমার ফ্ল্যাটে এল বুঝতে পারছি না। তবে এর পেছনে কোনও বড় ষড়যন্ত্র থাকতে পারে, পুলিশ তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে এটাই আশা করছি।‘
আলিপুরদুয়ার থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য বলেন, ‘ধারালো অস্ত্র সহ ৬ দুষ্কৃতীকে আটক করা হয়েছে। ধৃতদের বাড়ি আলিপুরদুয়ার শহর সংলগ্ন বীরপাড়া এলাকায়। তবে ঘটনার তদন্ত চলছে, ঠিক কী কারণে এমনটা হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।‘ শাসকদলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদদের নিরাপত্তায় যখন প্রশ্নচিহ্নের মুখে, তখন আলিপুরদুয়ারের আইনশৃঙ্খলা ও সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শাসক দলের জেলা সভাপতি প্রকাশবাবু বলেন, ‘মদ মাতাল নেশাখোরদের দৌরাত্ম্য অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। নিশ্চয়ই বিষয়টি পুলিশ খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখবে।‘ রাজ্যসভার সাংসদদের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী ঘটনার সময় অনুপস্থিত ছিলেন। যদিও প্রকাশবাবু এ ব্যাপারে বলেন, ‘ফ্ল্যাট বাড়িতে থাকার জায়গার অভাব থাকায় নিরাপত্তারক্ষীরা রাতে অন্যত্র ঘুমোতে গিয়েছিলেন। আবাসিক এলাকায় গভীর রাতে এমনটা হবে, ভাবতেই পারিনি।‘