বালুরঘাট: দক্ষিণ দিনাজপুরের বাঁশ, কাঠের শিল্প ও শিল্পীকে বিশ্বের দরবারে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) । বালুরঘাটে (Balurghat) এসে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন আশ্বাস পেয়ে আশায় বুক বাঁধছে কার্যত ধুঁকতে থাকা জেলার মুখাশিল্পীরা। মঙ্গলবার দুপুরে বালুরঘাটের জনসভা থেকে জেলার শিল্পীদের সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি তাঁতিদের নিপুণ কাজেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
জেলার বিভিন্ন প্রান্তে শিল্পীরা ছড়িয়ে থাকলেও খ্যাতি লাভ করেছে কুশমণ্ডি ব্লকের মহিষবাথান ও খাগাইল এলাকার মুখাশিল্পীরা। প্রায় ৫০টি পরিবার এই শিল্পের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। মূলত গামারি কাঠ এবং আম কাঠ দিয়ে এই মুখা তৈরি করা হয়। মহিষবাথানে তৈরি এই মুখার নাম গমিরা মুখা। এটি পরেই লোকনৃত্য গমিরা নাচ প্রচলিত। একসময় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তৈরি এই মুখা আমেরিকা সহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় পাড়ি দিলেও বর্তমানে এই শিল্পীরা অর্থের অভাবে দুর্দশায় রয়েছেন। ২০১৮ সালে ভারত সরকারের তরফে কাঠের তৈরি এই মুখাকে জিআই ট্যাগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও হাল ফেরেনি মুখাশিল্পীদের। অনেকে পেটের দায়ে বর্তমানে পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে গিয়েছেন।
সেইখানে দাঁড়িয়ে আসন্ন ভোটের মুখে আশার বাণী শুনিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। মুখা শিল্পী গৌতম বৈশ্য বলেন, ‘আমরা অভাব-অনটনের মধ্যে থেকেও এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছি। জিআই ট্যাগ পেয়েছি ঠিকই কিন্তু আমাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়নি।’ যদিও সভা মঞ্চ থেকে মোদি বলেন, ‘জেলার কাঠ ও বাঁশের শিল্প, তাঁতি ও কৃষকদের নিয়ে চিন্তা করছে বিজেপি। শিল্পকর্ম বিশ্বস্তরে নিয়ে যাওয়া হবে। প্রায় ১৩ হাজার কোটি খরচ করে কাঠ শিল্পী, তাঁতি, কৃষকদের উন্নয়নের চেষ্টা চলছে।’