নয়াদিল্লি: জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষ্যে শুক্রবার দুপুরে দিল্লি এসে পৌঁছেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দর্শনা জরদৌস। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হাসিনা পৌঁছে যান দক্ষিণ দিল্লির বসন্তকুঞ্জে ‘দ্য গ্র্যান্ড’ হোটেলে। কিছুক্ষণ সেখানে বিশ্রাম নিয়ে বিকেল ৫-৩০ টা নাগাদ সপার্ষদ পৌঁছে যান ৭, লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রী বাসভবনে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে বেরিয়ে এসে তাঁকে স্বাগত জানান, কুশল বিনিময় করেন দুজনেই। এর পর মোদির বাসভবনেই শুরু হয় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। বৈঠকে অংশ নেন বিদেশমন্ত্রী ড. সুব্রহ্মনিয়ম জয়শঙ্কর, বিদেশ সচিব বিনয় কোয়াত্রা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে চলে মোদি-হাসিনা বৈঠক, এমনটাই দাবি করা হয়েছে পিএমও সূত্রে।
সূত্রের দাবি, মোট তিনটি মউ সাক্ষরিত হবে মোদী-হাসিনার যৌথ উদ্যোগে৷ এর মধ্যে আছে, কৃষি গবেষণা ও শিক্ষা সহযোগিতা চুক্তি। কৃষিক্ষেত্রে গবেষণায় পারস্পরিক সহযোগিতাও আরও প্রসারিত করতে এই মউ স্বাক্ষর হবে। এছাড়া আছে সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি। তৎসহ ভারতের ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের মধ্যে একটি মৌ স্বাক্ষর হবে। এরসাথে দুই ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রীদের বৈঠকে বিদ্যুৎ এবং রেলপথের একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন হবে।
তবে সকলের নজর তিস্তা চুক্তির দিকে। মোদি-হাসিনার বৈঠকে তিস্তা চুক্তি উঠছে কিনা এখনও তা স্পষ্ট নয়। আগামীকাল প্রগতি ময়দানে জি-২০ সামিটে অংশ নেবেন হাসিনা। শনিবার রাতে রাষ্ট্রপতি ভবনে স্ব-কন্যা নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি। সেখানেই সাক্ষাৎ এবং তিস্তা চুক্তি নিয়ে একান্ত কথোপকথনের সম্ভাবনা রয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেলেই দিল্লি পৌঁছেছেন মমতাও। শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে আদৌ তিস্তা চুক্তি নিয়ে শেখ হাসিনাকে তিনি কোনও সদর্থক বার্তা দেন কিনা সেদিকেই নজর রাখছে গোটা কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য রাজনীতি৷