কলকাতা: দ্রুত পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানালেন মহম্মদ সেলিম। বামেদের তরফে এই ঘোষণাকে স্বাগত জানালেন তিনি। সেলিম বলেন, ‘আমাদের আশা, এমনই দ্রুততার সঙ্গে বর্তমান কমিশনার নির্বাচন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাবেন৷’ দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে সেলিম বলেন, ‘আমরা প্রস্তুত৷ আমরা আগেই আশঙ্কা করেছিলাম, এমনই কিছু একটা হতে চলেছে৷ সেই মতো আমরা প্রস্তুত আছি৷ আগামীকাল থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে নির্বাচনের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে৷’
পাশাপাশি সেলিম জানান, নির্বাচন কর্মী, নির্বাচনের প্রার্থী ও প্রচারের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে কমিশনকে৷ চোর-লুটেরাদের সরিয়ে সাধারণ মানুষ পঞ্চায়েত হাতে পেতে চাইছে৷ পাশাপাশি সেলিমের বক্তব্য, একদিকে যেমন তাঁরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন, তেমনই রাজকুমার রাওয়ের মতো নির্বাচনকর্মীকে যেন খুন হতে না হয়৷ অর্থাৎ, নিরাপত্তার দিকে জোর দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে একথা ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার থেকেই মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। মনোনয়ন জমার শেষ দিন ১৫ জুন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২০ জুন। ১১ জুলাই ভোট গণনার সম্ভাবনা। এবার রাজ্যের সমস্ত অংশে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। শুধু দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে দ্বিস্তরীয় ভোট হবে।
নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, এবার এক দফায় পঞ্চায়েত ভোট হবে। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কিনা সেই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সেই সঙ্গে এদিন বিকেল থেকেই মডেল কোড কনডাক্ট বা আদর্শ আচরণ বিধি জারি হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার। ২২টি জেলায় ৩,৩১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৮ হাজার ৫৯৪। মোট পঞ্চায়েত আসন ৬৩ হাজার ২৮৩টি। আগামী ৮ জুলাই, শনিবার এই ৬৩ হাজার ২৮৩টি আসনে এক দফাতেই ভোট হবে। তবে বর্ষায় ভোট হওয়ায় গ্রামে ভোট দিতে সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।