শিলিগুড়ি ও পতিরাম : সময়ের অনেক আগেই উত্তরবঙ্গে প্রবেশ বর্ষার (Moonsoon)। উত্তর-পূর্ব ভারতে বর্ষা শুরুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কবে উত্তরের আকাশ দখল করেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। বৃহস্পতিবার অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়ের মতো রাজ্যগুলিতে প্রবেশের পর শুক্রবার উত্তরবঙ্গেও (North Bengal) প্রবেশ করেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। শুধু প্রবেশ নয়, নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে এবছর বর্ষার মেঘ ইতিমধ্যে ছেয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর পর্যন্ত।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরকে উদ্ধৃত করে শুক্রবার মাঝিয়ান আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের দাবি, উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকে পড়ায় তার প্রভাব পড়েছে গৌড়বঙ্গের তিন জেলাতেও। রেমালের প্রভাবেই বর্ষার এই দ্রুতগতি বলে মনে করা হচ্ছে। মাঝিয়ানের নোডাল অফিসার ও কৃষি কলেজের ডিন ডঃ জ্যোতির্ময় কারফর্মার বক্তব্য, ‘আজ থেকে গৌড়বঙ্গে বর্ষার সূচনা হয়ে গেল। রেমালের প্রভাবে বর্ষা বেশ কয়েকদিন এগিয়ে এসেছে। এবার বর্ষায় স্বাভাবিকের তুলনায় ৪ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় আমন ধানের চাষ খুব ভালো হওয়ার আশা রয়েছে।’
গত বছরও উত্তরবঙ্গে বর্ষার প্রবেশ ঘটেছিল ২ দিন পিছিয়ে ১২ জুন। কিন্তু ৫ জুনের পরিবর্তে উত্তর-পূর্ব ভারতে বৃহস্পতিবার যেমন বর্ষার প্রবেশ ঘটেছে, তেমনই ১০ জুনের পরিবর্তে উত্তরবঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রবেশ ঘটেছে ১০ দিন আগে শুক্রবার। আবহাওয়া দপ্তরের সিকিমের কেন্দ্রীয় অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলছেন, ‘রেমালের প্রভাবে দখিনা বাতাস প্রবেশ করায় সিকিম এবং সংলগ্ন উত্তরবঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রবেশ ঘটেছে দ্রুত। ফলে তাপমাত্রা যেমন নিয়ন্ত্রিত থাকবে, তেমনই বর্ষার জলে উপকৃত হবে উত্তরবঙ্গের চাষাবাদ।’
প্রতিবছরই দক্ষিণবঙ্গের আগে উত্তরে বর্ষা প্রবেশ করে। দক্ষিণবঙ্গে মূলত দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রবেশ ঘটে বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগর থেকে। কোনও বছর এগিয়ে থাকে বঙ্গোপসাগর, কোনওবার আবার আরব সাগর। এবছর কী হবে স্পষ্ট নয়। বর্ষা প্রবেশ করলেও উত্তরের আকাশ ছেয়ে যায় কালো মেঘে। খুশির হাসি ছড়িয়ে পড়ে চা এবং কৃষি বলয়ে। কিন্তু এবছর বর্ষা প্রবেশেই আশঙ্কার মেঘও দানা বেঁধেছে তিস্তা নিয়ে।