বর্ধমান: তৃণমূলকে ফাঁসাতে নিজেদের বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনা ঘটিয়ে ধৃত সিপিএম প্রার্থী ও কর্মীকে নিয়ে রহস্য যেন ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে। দু’জনই এখন রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার পুলিশের হেপাজতে। পুলিশের দাবি, সিপিএম প্রার্থী সুশান্ত মণ্ডল এবং তার সহযোগী রাম সরকারকে হেপাজতে নিয়ে তদন্ত চালিয়ে আরও বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এরা কী উদ্দেশ্যে, কোথা থেকে এত বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করেছিল, তা নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ। পাঁচদিনের হেপাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার সুলান্ত মণ্ডলকে রবিবার বর্ধমান আদালতে পেশ করে পুনরায় হেপাজতে নেয় পুলিশ। পাশপাশি, অপর সিপিএম প্রার্থী তথা সুশান্তর স্ত্রী দেবিকা দেবনাথ এবং ভাইয়ের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
এই ঘটনা যত সামনে আসছে ততই অস্বস্তি বাড়ছে সিপিএম নেতৃত্বের। দলের জামালপুর ১ এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুকুমার মিত্র বলেন, ‘এখন লোকে অনেক কিছুই বলছে। এসব তো আগে শোনা যায়নি। তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার মানসিকতা রয়েছে দেখেই তাঁদের প্রার্থী করা হয়েছিল। তবে যা শোনা যাচ্ছে, ঘটনা যদি সত্যি তাই হয় তবে দল ওই দম্পতির পাশে দাঁড়াবে না। কারণ সিপিএম পার্টি অন্যায়কারীর সঙ্গে আপস করে না।’ তৃণমূলের জামালপুর ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খান বলেন, ‘সিপিএমের আসল রূপ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এখন মুখ লুকানোর জায়গা পাচ্ছেন না সিপিএমের নেতারা।’