চ্যাংরাবান্ধা: অন্যদলকে ভোট দিয়েছে বলে রাতের অন্ধকারে এক বিধবা মহিলার ঘরে ঢুকে নাবালিকা মেয়েকে তুলে নিয়ে যাবার চেষ্টার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মেয়েকে বাঁচাতে গেলে মা ও মেয়ে দু’জনকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধর করে পালিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধেই। বুধবার মেখলিগঞ্জ ব্লকের চ্যাংরাবান্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ১৪১ কামাত চ্যাংরাবান্ধা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম ওই মহিলার নাম দিপালী রায় এবং তাঁর মেয়ে দীপিকা রায়। এই ঘটনায় ওই পরিবারটি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। দোষীদের শাস্তি সহ নিরাপত্তার দাবিতে তাঁরা লিখিতভাবে মেখলিগঞ্জ থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন।
ওই পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত ১টা নাগাদ দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। ঘরে ঢুকেই তারা বলতে থাকেন, ‘তোরা আমাদের ভোট না দিয়ে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থীকে ভোট দিয়েছিস। তাই তোদের আর বেঁচে থাকতে দেওয়া যাবেনা।’ এই বলেই ছুড়ি দিয়ে মারতে শুরু করে। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশি এবং স্থানীয় বিএসএফের জওয়ানেরা ছুটে যান। এরপর গুরুতর জখম মা ও মেয়েকে চিকিৎসার জন্য চ্যাংরাবান্ধা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়।
চ্যাংরাবান্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭১ নম্বর বুথে এবার তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়ে সারা ভারত ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী নান্নু রহমান জয়ী হয়েছেন। তাই স্থানীয়দের একাংশ মনে করছেন এই ঘটনার পিছনে শাসক দলের হাত রয়েছে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের মেখলিগঞ্জ ব্লক সভাপতি কেশবচন্দ্র বর্মন বলেন, ‘এই ধরণের কোনও ঘটনার কথা তাঁর জানা নেই। তবে আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।‘ কোচবিহার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা জানান, অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।