শিলিগুড়ি: অসুস্থ অবস্থায় কেউ বা কারা রাস্তার পাশ থেকে তুলে এক ভবঘুরেকে গত বছরের প্রথম দিকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন। চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে গেলেও সেই ভবঘুরের খোঁজ করতে কেউ আসেনি। অবশেষে দীর্ঘ চেষ্টার পর সেই ব্যক্তিকে নিজের বাড়িতে ফেরানো সম্ভব হল। সেই ভবঘুরে আদতে দার্জিলিং পোখরিয়াবং-এর বাসিন্দা মুন্না গুপ্তা(৪৫)। দার্জিলিং ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল এইড ফোরামের তরফে পুলিশ, প্রশাসনের সহযোগিতায় ওই ব্যক্তিকে তাঁর দিদি মুন্নি গুপ্তার হাতে তুলে দেওয়া হয়। ভাইকে ফিরে দারুণ খুশি মুন্নি। মুন্না নতুন করে জীবন শুরু করার স্বপ্ন দেখছেন।
পায়ে সংক্রমণ নিয়ে রাস্তার পাশ থেকে তুলে মুন্নাকে মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। তারপর থেকে টানা তাঁর চিকিৎসা চলেছে। সুস্থ হয়ে গেলেও মুন্নাকে কেউ নিতে না আসায় মেডিকেল কর্তৃপক্ষ লিগ্যাল এইড ফোরামের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সেইমতো নির্দিষ্ট চুক্তি মেনে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ দার্জিলিং ডিস্ট্রক্ট লিগ্যাল এইড ফোরামের হাতে মুন্নাকে তুলে দিয়েছিল। ফোরামের ঘোষপুকুরের একটি হোমে চার মাস ধরে ওই ব্যক্তি ছিলেন। রবিবার অবশেষে ওই ব্যক্তিকে তাঁর দিদির হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিদায় জানানোর আগে মুন্নাকে খাদা পরিয়ে ফুল, মিষ্টির প্যাকট হাতে তুলে দেওয়া হয়।
মুন্নার কথায়, ‘কখনও বাড়ি ফিরতে পারব তা কল্পনা করতে পারিনি। দিদি ছাড়া পরিবারে কেউ নেই। নতুন করে কাজ শুরু করব।’ মুন্নার দিদি দিনমজুর। ভাইকে নিয়ে তিনি দার্জিলিং ফিরে যান। ফেরার আগে ওই মহিলা বলেন, ‘ভাই আমার ভরসা। ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল।’ মুন্না সহ এই নিয়ে চারজনকে লিগ্যাল এইড ফোরামের তরফে বাড়ি ফেরানো সম্ভব হল। লিগ্যাল এইড ফোরামের জেলা সভাপতি অমিত সরকার বলেন, ‘এখনও ২৬ জন ভবঘুরে আমাদের হোমে রয়েছেন। তাঁদের ঘরে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’