নয়াদিল্লি: সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-র বৈঠক থেকে বহিষ্কার করা হল মুর্শিদাবাদ জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসককে। সূত্রের খবর, সোমবার নয়াদিল্লিতে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে ছিল সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের প্লাস্টিক-দূষিত জেলার পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং এই দূষণরোধে কেন্দ্রীয় অনুদানের হিসেব নিকেশ করা। জানা যায়, প্লাস্টিক দূষণরোধে কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো অনুদানের হিসাবে কেন্দ্রীয় অডিট ডিপার্টমেন্ট সিএজি বেশ কিছু গড়মিল পেয়েছে। এর কুল-কিনারা করতেই কলকাতা, মুম্বই এবং চেন্নাই এই তিনটি মেট্রো শহরের সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিকদের ডেকে পাঠানো হয় দিল্লিতে। পশ্চিমবঙ্গেরও বেশ কয়েকজন আধিকারিককে কমিটির বৈঠকে হাজিরা দিতে বলা হয়। পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সেক্রেটারি রাজেশ কুমার, পুর সচিব খলিল আহমেদ, পরিবেশ দপ্তরের সচিব নন্দিনী ঘোষ, পুর দপ্তরের সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারি সুজাতা ঘোষ ও সোমনাথ দে-কে সোমবার তলব করা হয় দিল্লিতে। এই বৈঠকে পৌরহিত্য করছিলেন পিএসি-র চেয়ারম্যান তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী।
সেখানেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জেলাশাসকরা উপস্থিত হয়েছিলেন নিজেদের জেলার প্লাস্টিক দূষণের বিবরণী নিয়ে। কমিটির তরফে আগেই নোটিশ পাঠিয়ে তলব করা হয়েছিল প্লাস্টিক-দূষণে জেরবার মুর্শিদাবাদের জেলাশাসককেও। সূত্রের দাবি, জেলাশাসক নিজে উপস্থিত না হয়ে দিল্লিতে কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে পাঠান অতিরিক্ত জেলাশাসক বা এডিএমকে। কমিটির সর্বোচ্চ পদাধিকারী বা চেয়ারম্যানকে কোনও আগাম বার্তা না দিয়েই এডিএম মুর্শিদাবাদ পিএসি বৈঠকে হাজির হন। সোমবার বৈঠকের শুরুতেই নিজের জেলা মুর্শিদাবাদের প্লাস্টিক দূষণের হাল হকিকত খতিয়ে দেখতে চান পিএসি চেয়ারম্যান অধীর চৌধুরী।
সূত্রের দাবি, সেই সময়ে তিনি দেখতে পান জেলাশাসকের পরিবর্তে বৈঠকে হাজির মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক। নিয়ম বিরুদ্ধ এই ঘটনায় প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হন অধীরবাবু। জেলাশাসক কেন অনুপস্থিত? কেন তা কমিটিকে সময় থাকতে জানানো হয়নি? তা জানতে চান অধীর। অতিরিক্ত জেলাশাসকের তরফে সদুত্তর না থাকায় সঙ্গে সঙ্গেই কড়া ধমক দিয়ে তিনি এডিএম মুর্শিদাবাদকে বৈঠক ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। সূত্রের দাবি, এখানেই না থেমে থেকে এবার মুর্শিদাবাদের জেলাশাসকের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগে নোটিশ পাঠাতে চলেছে অধীররঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)।