বহরমপুর: ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগ মামলায় এবার গ্রেপ্তার হলেন মুর্শিদাবাদ জেলা শিক্ষা দপ্তরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। সোমবার বহরমপুরে সিআইডি অফিসে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে জঙ্গিপুরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইনস্পেকটর অফ স্কুল সুশীলকুমার বর্মনকে। তাঁকে এদিনই বহরমপুর আদালতে তোলা হয়ছে। ঘটনার জেরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলায়।
রাজ্যজুড়ে শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যখন একের পর একটি ঘটনা সামনে আসছিল সেই সময় কলকাতা হাইকোর্টে জমা পড়ে একটি অভিযোগ। তাতে বলা হয়, মুর্শিদাবাদের সুতি থানার সাদিকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোথা এ রহমান হাইস্কুলে অনিমেষ তিওয়ারি নামে এক যুবক বেলডাঙ্গার ভূগোলের এক শিক্ষকের নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর জাল করে চাকরি করছেন।
অনিমেষ যে স্কুলে চাকরি করতেন সেখানকার প্রধান শিক্ষক ছিলেন তাঁর বাবা আশিস তিওয়ারি। অভিযোগ ওঠে, জেলা শিক্ষা দপ্তরের কয়েকজন আধিকারিক এবং আশিসবাবুর মদতে ২০১৯ সাল থেকে ওই স্কুলে চাকরি করছেন অনিমেষ।
নিয়োগ দুর্নীতির এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মুর্শিদাবাদের ডিআই (সেকেন্ডারি) অমরকুমার শীল সুতি থানায় অনিমেষ এবং আশিস তিওয়ারির বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে এই তদন্তভার গ্রহণ করে রাজ্য সিআইডি। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হন আশিস তিওয়ারি। কিন্তু পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকে পলাতক ছিলেন অনিমেষ। ১৪ জুলাই গ্রেপ্তার হন তিনি।
অনিমেষের নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে সিআইডির হাতে আগেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের প্রাক্তন ডিআই (মাধ্যমিক) পূরবী বিশ্বাস দে এবং অঞ্জনা মজুমদার ও নিত্যগোপাল মাঝি নামে শিক্ষা দপ্তরের অন্য দুই কর্মী। যদিও শিক্ষা দপ্তরের প্রাক্তন তিন কর্মী এবং আশিস তিওয়ারি বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
এবিষয়ে মুর্শিদাবাদের ডিআই (মাধ্যমিক) অমরকুমার শীল বলেন, ‘সুশীলবাবুকে আজ সিআইডি-র আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বহরমপুরে ডেকেছিলেন। পরে সেখানেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে আমি শুনেছি।’