নাগরাকাটাঃ বুধবার দুপুরে সিপিএম ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন সুলকাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য পুনম দার্নাল। আর এর পরেই সন্ধ্যায় নিজের বাড়িতে সাংবাদিক সন্মেলন ডেকে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন ক্ষোভ উগড়ে দেন সুলকাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শীতল মিস্ত্রি। তাঁর অভিযোগ তিনি অবজ্ঞার শিকার। এর পেছনে দলের সুলকাপাড়া অঞ্চল কমিটির সভাপতি লতিফুল ইসলামের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ প্রধানের। আগামী ৭ দিনের মধ্যে দল এর কোনও বিহিত না করলে শীতল দেবী প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। সব মিলিয়ে দলবদল ইস্যুকে কেন্দ্র করে শাসক দলের এলাকার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এখন কোন্দলের ছায়া স্পষ্ট। যদিও লতিফুল ইসলাম বলেন, “ফোন করে ওঁনাকে আসার জন্যে বলা হয়েছিল। আর তিনি কি করবেন সেটা একান্তভাবেই তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। আমাদের লক্ষ্য দলকে আরও শক্তিশালী করা।”
ক্ষুব্ধ প্রধান শীতল মিস্ত্রি বলেন, “বিরোধী দলের একজন পঞ্চায়েত সদস্য আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন এর থেকে ভাল আর কিই বা হতে পারে। তবে তাতে আমাকে ইচ্ছেকৃতভাবে ব্রাত্য করে রাখার মধ্যে অন্য কৌশল রয়েছে বলে আমার ধারনা। ওই কর্মসূচীতে উপপ্রধানকে ডাকা হলেও আমাকে নয় কেন?” তাঁর সংযোজন, “এটা বেইজ্জতি ছাড়া আর কিছু নয়। বারবারই এমনটা করা হচ্ছে। এর অর্থ ওঁদের আমাকে পছন্দ নয়। সেটা স্পষ্ট করে বলে দিক। ইস্তফা পত্র লিখেই রেখে দিয়েছি। ৭ দিনের মধ্যে জমা দিয়ে দেব।” প্রধান বলেছেন, “পুনমকে ভোটের আগে যোগ দেওয়ালে দলকে শক্তিশালী করার তত্ত্বে বিশ্বাস করতে পারতাম। ভোটের পর হঠাৎ করে কেন? উদ্দেশ্যটা কি সেটাও বড় প্রশ্ন।
অঞ্চল সভাপতি লতিফুল ইসলাম বলেন, “পুনমের গত পঞ্চায়েত ভোটের পরেই আমাদের দলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। নানা কারণে সেটা হয়নি। এমনকি লোকসভা ভোটের আগেও তাঁকে দলে নেওয়ার পাকা সিদ্ধান্ত হয়ে যায়। সেসময় আমাদের প্রার্থী প্রকাশ চিকবরাইক সময় দিতে পারেন নি। উন্নয়নের কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ সবৈব মিথ্যে।”
প্রসঙ্গত, সুলকাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ২৭। গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস ২১ টি আসনে জয়লাভ করে। বিজেপি ও সিপিএম ৩ টি করে আসন পায়। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের পদটি তপশিলি জাতির (এসসি) জন্য সংরক্ষিত। ওই ক্যাটাগরিতে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী প্রার্থী সেসময় একমাত্র শীতল মিস্ত্রিই ছিলেন। ফলে তিনিই প্রধান হন। এদিন সিপিএম থেকে যিনি যোগ দিলেন সেই পুনমও তপশিলি জাতিভূক্ত। তবে কি তৃণমূল তাঁকে ভবিষ্যতের প্রধান হিসেবে বেঁছে নিতে পারে? এমন জল্পনাও তৈরি হয়েছে। যদিও লতিফুল তাতে জল ঢেলে দিয়ে বলেন, যে কেউ বললেই প্রধান পদ পরিবর্তন করা যায় না। আর বর্তমান প্রধান সবাইকে সঙ্গে নিয়ে যথেষ্ট ভালো কাজ করছেন। কোনও পূর্ব শর্ত ছাড়াই পুনম আমাদের দলে এসেছেন।
কার্তিক দাস, খড়িবাড়ি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছিলেন অধিকারীর বারাসতভিটার সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র…
সানি সরকার, গজলডোবা: প্রাক বর্ষায় চারদিক সবুজময়। কিন্তু মাটির নীচের ‘চেনা সোনা’ উধাও। গত কয়েকমাসের…
ফালাকাটা: হাতির হামলায়(Elephant Attack) ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হল ফালাকাটার(Falakata) বংশীধরপুর, রাইচেঙ্গা ও কালীপুর গ্রামে। শনিবার রাতে…
বালুরঘাট: বর্তমানে নীলগাই বিপন্ন প্রজাতিতে পরিণত হয়েছে। অনেকে এই নীলগাই দেখে বাছুর ও হরিণের মিশ্রণ…
দেবাশিস দাশগুপ্ত গত ৭ মে নিজের মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে বিভিন্ন বুথে ঘুরে ঘুরে ভূত তাড়িয়েছেন।…
সুমন ভট্টাচার্য সুকান্ত মজুমদার যদি রাজ্য বিজেপির সভাপতি হন, তাহলে শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় বিরোধী…
This website uses cookies.