হিলি: নিমেষেই বলে দিতে পারে ১৩০টি দেশের রাজধানীর(Capital) নাম। ইসলাম ধর্মের আলবাকারা শূরা থেকে ২৬টি স্ট্যাচু ঠোঁটস্থ। এই ব্যতিক্রমী প্রতিভার জন্য পঞ্চম শ্রেণির ইমন মণ্ডলকে স্বীকৃতি দিল ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড(Indian Book of Records)।
হিলি থানার ভারত বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা চুকুরপাই গ্রামের বাসিন্দা পেশায় ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি ইমরান মণ্ডল। তাঁর ১০ বছর বয়সি ছেলে ইমন মণ্ডল। পাঞ্জুল হাইস্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সে। তার এই ব্যতিক্রমী প্রতিভা রয়েছে। ইন্টারনেট ঘেঁটে একাধিক বিষয়ে জ্ঞানের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করেছে। ১ মিনিটেই বলে দিতে পারছে ১৩০টি দেশের রাজধানীর নাম। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পৃথিবীর ২৬টি স্ট্যাচুর নাম অবলীলায় বলে দিতে পারে ওই খুদে। ইসলাম(Islam) ধর্মাবলম্বী হওয়ায় সবচেয়ে বড় কোরান শরিফ আলবাকারা শূরা এক লহমায় ঠোঁটস্থ বলছে ওই বিস্ময় বালক।
সম্প্রতি ওই কিশোরের পরিবারের তরফে তাঁর এই প্রতিভার কথা জানানো হয় ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে। তারপরই ওই সংস্থার তরফে ইমনের ব্যতিক্রমী প্রতিভার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হয়। এরপরই ভারতের ১০ জন কিশোরের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়। সেখানেই ইমনের প্রতিভা প্রতিষ্ঠিত হয়। গত ১৫ জানুয়ারি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড থেকে ইমন মণ্ডলকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সম্প্রতি ইমনের বাড়িতে স্বীকৃতিপত্র পাঠিয়েছে ওই সংস্থা। তারপর থেকে উচ্ছ্বসিত পরিবারের সদস্যরা।
এপ্রসঙ্গে ইমন মণ্ডল বলেন, ‘আমি ইন্টারনেট ব্যবহার করে সব শিখেছি। খেলাধুলা থেকে পড়াশোনা বেশি পছন্দ করি। সারাক্ষণ এইসব নিয়ে থাকি। স্কুলের শিক্ষকেরাও উৎসাহ দেন। বাড়িতে মা বাবাও সাহায্য করে। ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে নাম তুলতে পেরে আনন্দ হচ্ছে। ভবিষ্যতে ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছে রয়েছে।‘
এপ্রসঙ্গে ইমনের মা বিজিয়া সুলতানা মুন্সী বলেন, ‘ছোট থেকেই ওর এরকম বিষয়ে বেশি নজর রয়েছে। মোবাইল ঘেঁটে সবটা শিখেছে। আমরা গাইড করেছি। শিক্ষকেরা গাইড করেছেন। এই স্বীকৃতিতে আমরা খুব খুশি। আমরা ওর পড়াশোনার জন্য সবরকমভাবে পাশে রয়েছি। এই চর্চাতেও আমরা সবসময় সাহায্য করছি।‘