উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করতে হবে যুব সম্প্রদায়কে। অর্থাৎ সপ্তাহে দু’দিন ছুটি থাকলে প্রতিদিন ১৪ ঘণ্টা কাজ করতে হবে ভারতের যুব সম্প্রদায়কে। এই পরিশ্রম করতে না পারার কারণেই অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছে না ভারত। সম্প্রতি একটি পডকাস্টে সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য করেছিলেন ভারতের দ্বিতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি। নারায়ণ মূর্তি দেশের যুবদের ‘সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ’ করার পরামর্শ দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। এবার ইনফোসিস প্রধানের এই মন্তব্যকে সমর্থন করলেন জিন্দল গোষ্ঠীর প্রধান সজ্জন জিন্দল।
‘সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ’ প্রসঙ্গে নারায়ণ মূর্তির মন্তব্যকে সমর্থন করতে গিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদাহরণ তুলে ধরেন জিন্দল। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জিন্দল গোষ্ঠীর প্রধান লেখেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা কাজ করেন। আমার বাবা সপ্তাহে ৭ দিন ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা কাজ করতেন। আমি প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘন্টা কাজ করি।’
আগেই নারায়ণ মূর্তির সঙ্গে সহমত পোষণ করেন ওলার সিইও ভাবিশ আগরওয়াল। নারায়ণ মূর্তির পরামর্শকে সমর্থন জানিয়ে এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ভাবিশ আগরওয়াল লেখেন, “নারায়ণ মূর্তির মতামতের সঙ্গে সম্পূর্ণ ভাবে একমত আমি। কম কাজ করে আনন্দ উপভোগের সময় এটা নয়। বরং এটাই আমাদের কঠোর পরিশ্রমের মুহূর্ত।” সিনেমা প্রযোজক রনি স্ক্রুওয়ালা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “দীর্ঘ সময় কাজ করলেই যে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো সম্ভব তা নয়। আপস্কিলিং প্রয়োজন। কর্মস্থলে ইতিবাচক কাজের পরিবেশ দরকার। ন্যায্য বেতন দিতে হবে কর্মীদের। বেশিক্ষণ কাজ করার থেকে কাজের গুণমান ভালো হওয়া বেশি প্রয়োজন।”
উল্লেখ্য, “থ্রি ওয়ান ফোর ক্যাপিটাল’-এর পডকাস্ট দ্য রেকর্ডে ইনফোসিস প্রধান নারায়ণ মূর্তি বলেছিলেন, “বিশ্বের মধ্যে ভারতের কর্মক্ষমতা অন্যতম কম। যদি আমরা আমাদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে না পারি, যদি না যে সরকারের কোনও স্তরে দুর্নীতিতে লাগাম টানতে না পারি, যদি না কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক লালফিতের ফাঁস কাটাতে না পারি, তাহলে আমরা চিন, জাপান, জার্মানের মতো উন্নয়নশীল দেশকে টক্কর দিতে পারব না। অর্থনীতির নিরিখে চিন জাপানের মতো দেশের সঙ্গে টক্কর দিতে হলে ভারতের তরুণদের নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। তাই যুব সম্প্রদায়কে বলতে চাই, তাঁদের সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করতে তৈরি থাকতে হবে।’