শিলিগুড়িঃ আর মাত্র কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা। শিলিগুড়িতে পা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা না হলেও ইতিমধ্যেই দেশে বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। এদিন শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে বিজয় সংকল্প সভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। মোদির সভাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাত থেকেই শিলিগুড়িতে পৌছে গিয়েছেন বিজেপির নেতৃত্ব।
লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ না হলেও মার্চের প্রথম সপ্তাহেই দক্ষিণবঙ্গে তিন তিনটি সভা করে ফেলেছেন মোদি। এবার তাঁর নজর উত্তরবঙ্গে। ভোটের নিরিখে প্রথম সভাটি রয়েছে শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে। জানা গিয়েছে, বাগডোগরায় প্রধানমন্ত্রী পৌঁছাবেন দুপুর ৩টায়। সেখান থেকে সড়কপথে ৩টা ২৫ মিনিট নাগাদ কাওয়াখালির মঞ্চে পৌঁছাবেন মোদি। ৫টার মধ্যে সভা শেষ হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে কাওয়াখালির মাঠে দুটো মূল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। আকারে কিছুটা ছোটো মঞ্চে প্রথমে মোদি ৩০ মিনিট ব্যয় করবেন সড়ক ও রেল প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ঘোষণার জন্য। পরবর্তীতে প্রধান মঞ্চে তিনি রাজনৈতিক সভায় যোগ দেবেন। সভা শেষ করে এদিনই তাঁর ফিরে যাওয়ার কথা দিল্লিতে।
বিজেপি সূত্রে খবর, মোদির সভায় মঙ্গল পাণ্ডে, আশা লাকড়া, অমিত মালব্যর মতো কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারির মতো রাজ্য নেতারা উপস্থিত থাকবেন। থাকতে পারেন বিচারপতি পদে সদ্য ইস্তফা দিয়ে পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নেওয়া অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তা হলে এটাই হবে প্রাক্তন বিচারপতির প্রথম রাজনৈতিক সভায় উপস্থিতি। কিন্তু আলিপুরদুয়ারের বিদায়ী সাংসদ এবং দলীয় টিকিট থেকে বঞ্চিত ক্ষুব্ধ জন বারলা কী উপস্থিত থাকবেন? সভার আয়োজক শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরুণ মণ্ডল বলছেন, ‘সকলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। উনি কী করবেন জানি না।’ বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, শনিবার কাওয়াখালির মাঠে দুই লক্ষ মানুষের ভিড় হবে। সাধারণত এই সভাটি দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ির। কিন্তু মোদির কথা শোনার জন্য উত্তরবঙ্গের সমস্ত প্রান্তের মানুষ ভিড় জমাবেন বলে মনে করেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ।