উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মাওবাদী সন্ত্রাসের আঁতুড়ে (Maoist Village) উড়ল তেরঙ্গা পতাকা। স্বাধীনতার পর এই প্রথম। ছত্তিশগড়ের (Chattishgarh) সুকমার পুভার্তি গ্রাম। মাওবাদী নেতা মাধভী হিডমার গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পুভার্তির। যেখানে পুলিশ বা প্রশাসনের উপস্থিতি বলতে কিছুই ছিল না। বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো এই গ্রামটিকে শাসন করত মাওবাদীরা। এখান থেকেই পুলিশ-সিআরপিএফের উপর হামলার রণকৌশল তৈরি হত।
রবিবার সিআরপিএফ (CRPF) এবং রাজ্য পুলিশ আধিকারিকরা গ্রামটি পরিদর্শন করেন। পুলিশকর্তারা গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথাও বলেন। মাধভী হিডমার গ্রাম হিসেবে পরিচিত হলেও হিদমার মৃত্যুর পর গ্রামের উপর মাওবাদিদের সেই প্রভাব ফিকে হতে শুরু করেছে। এক সময় অনেকটা জায়গা নিয়ে বিস্তীর্ণ এই এলাকাটি মাওবাদী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল। যেখানে তারা মিটিং করত এবং আশেপাশের গ্রামগুলিতে বসবাসকারী তরুণদের তাদের দলে নিয়োগ করত। এলাকাটি পরিদর্শনের ফলে এই নিষিদ্ধ গোষ্ঠীগুলি কীভাবে কাজ করে থাকে তার ধারণা পেয়েছেন পুলিশকর্তারা। তবে সেসব এখন অতীত। যেখানে এক সময় পুলিশ পা রাখতে ভয় পেত সেখানে গত কয়েক মাসে এই ধরনের সাতটি শিবির করা হয়েছে। যা পরবর্তীতে এই নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চলতে থাকা যুদ্ধে অনেকটাই সাহায্য করবে।
গত ৩০ জানুয়ারি তেকালগুডার পুলিশ শিবিরে মাওবাদী হামলায় তিনজন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হবার এক সপ্তাহ পর এই পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছে। এদিন সুকমার পুলিশ সুপার গ্রামে গিয়ে হিডমার মায়ের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। গ্রামবাসীদের মাওবাদী কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি জানান, সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুবিধা তাঁরা পাবেন। তিনি আরও জানান, একমাত্র গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় গ্রামের উন্নয়ন সম্ভব।