উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এদিকে পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্বকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে অশান্ত রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা। বলি হতে হয়েছে একের পর এক নেতা-কর্মীকে। সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে ভাঙড়। বোমা, গুলি রীতিমতো অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেখানে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ছুটে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। নিরাপত্তা চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা’কে চিঠি লিখেছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। আইএসএফ বিধায়কের চিঠির প্রেক্ষিতে তাঁকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
এদিকে ভাঙড়ে মনোনয়নকাণ্ডে শিরোনামে উঠে এসেছে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লার নাম। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লা ও আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বে হিংসার ঘটনা ঘটেছে ভাঙড়ে। শনিবার একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়ে দেয় ভাঙড়ের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থাকছেন সওকত মোল্লাই। সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয় এই তৃণমূল বিধায়ককে এবার থেকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
গত মার্চ মাসে সওকত মোল্লা দাবি করেছিলেন, তাঁকে খুন করা হতে পারে। এই আশঙ্কা প্রকাশ করে কাশিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেই সময় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিও বার্তায় সওকত মোল্লাকে বস্তা বন্দি করে খালে ফেলে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছিল। সেই সময় সওকত মোল্লা বলেছিলেন, ‘আইএসএফ কর্মীদের আমাকে বস্তাবন্দি করে খালে ফেলার কথা শুনেছিলাম। নওশাদ সিদ্দিকির প্ররোচণাতেই এই সব হচ্ছে বলে মনে করছি। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি।’