নকশালবাড়ি: জনসংযোগ কর্মসূচিতে এসে স্থানীয়দের সমস্যার কথা শুনলেন জেলাশাসক, বিডিও, সভাধিপতি, সভাপতি, প্রধান। বৃহস্পতিবার দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের তরফে নকশালবাড়ি (Naxalbari) ব্লকের হাতিঘিসা গ্রাম পঞ্চায়েতের সেবদেল্লা জোত এবং কিরণ চন্দ্র চা বাগানে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এদিনের এই কর্মসূচিতে দার্জিলিং জেলা শাসক প্রীতি গোয়েল, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ, নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আনন্দ ঘোষ, নকশালবাড়ির বিডিও প্রণব চট্ররাজ, হাতিঘিসা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ক্যাথরিন তামাং মাটিতে বসে বাসিন্দাদের সমস্যার কথা শোনেন।
সেবদেল্লা জোত, কিরণ চন্দ্র চা বাগানের বাসিন্দারা জেলাশাসকের কাছে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, র্যাশন কার্ড, জাতিগত শংসাপত্র, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir bhandar), সমব্যথী প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ জানান। কিরণ চন্দ্র চা বাগানের বাসিন্দা, রিঙ্কু গোরাইকের অভিযোগ, র্যাশন কার্ড (Ration card) থাকা সত্বেও তাকে র্যাশন দেওয়া হয় না। রাসন্তি গোস্বামীর অভিযোগ, বহুবার র্যাশন কার্ডের জন্য ব্লক প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েও পাননি। বাগানের বাসিন্দা বলে এমন ব্যবহার করা হচ্ছে। অপরদিকে, সুনীতা ভোক্তার অভিযোগ, একাধিকবার জাতিগত শংসাপত্রের জন্য আবেদন করেও জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি। যা নিয়ে তিনি জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানান। সেবদেল্লা জোতের শান্তি বর্মন সমব্যথী প্রকল্পের টাকা নিয়ে জানান জেলা শাসককে। এবিষয়ে জেলা শাসক প্রীতি গোয়েল জানিয়েছে, যা সমস্যা উঠে আসছে সবগুলিই এদিনের শিবিরে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।