নকশালবাড়ি: বাগান খোলা রাখাকে কেন্দ্র করে আইএনটিটিইউসির দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে জেরবার জাবরা চা বাগানের শ্রমিকরা। রবিবার আইএনটিটিইউসির দার্জিলিং জেলা সমতলের সভাপতি নির্জল দে-র বিরুদ্ধে জাবরা চা বাগানের শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। নকশালবাড়ি ব্লকের মণিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জাবরা সংসদটি হল ত্রিহানা চা বাগানের একটি ডিভিশন। জাবরা ডিভিশনে শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিনশো। ৪৮০ একর জমির উপর জাবরা চা বাগান বিস্তৃত। অভিযোগ, ত্রিহানা চা বাগান বন্ধ থাকলেও খোলা ছিল জাবরা ডিভিশন। জাবরা ডিভিশনের শ্রমিকরা রুটিনমাফিক বাগানে কাজ করতেন। কিন্তু শনিবার এই বাগানের দুজন শ্রমিককে ত্রিহানার ফ্যাক্টারিতে বেধড়ক মারধর করা হয়। যা নিয়ে জাবরা চা বাগানে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শনিবার জাবরা চা বাগানে জল দেওয়ার জন্য সেচের সামগ্রী আনতে মালিকের সঙ্গে ত্রিহানা ফ্যাক্টরিতে যান দুজন শ্রমিক। সেই সময় বাগডোগরা থানার পুলিশও তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। কিন্তু ফ্যাক্টরি থেকে বের হতেই দলকা জঙ্গলের পাশে সমীর চিকবরাইক ও মুকেশ চিকবরাইককে ত্রিহানা চা বাগানের কিছু নেতা ঘিরে ফেলে ব্যাপক মারধর করে। ঘটনাস্থলেই দুজন অজ্ঞান হয়ে পড়ে। জাবরা চা বাগান থেকে কিছু যুবক তাদের উদ্ধার করে নকশালবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে আনেন। আপাতত দুজনেই চিকিৎসাধীন। মুকেশ চিকবরাইক বলেন, ‘যখন আমাদের মারধর করা হয়েছিল পুলিশ সেই সময় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এর ফলে বাগানের সকলেই ক্ষোভে ফুঁসছে। দ্রুত আমাদের বাগান স্বাভাবিক না হলে শ্রমিক নেতার বাড়ি ঘেরাও করা হবে।’ জাবরা চা বাগানের বাসিন্দা মণিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের আইএনটিটিইউসির সেক্রেটারি রঞ্জন চিকবরাইক জানান, ‘জাবরা চা বাগানের শ্রমিকরা পেটের দায়ে বাগান খোলা রাখতে চাইছেন। কিন্তু মাঝখান থেকে নির্জল দে ত্রিহানায় গুজব ছড়িয়েছেন ১০ শতাংশ বোনাস চুক্তির ভিত্তিতে জাবরা চা বাগান খোলা হয়েছে। যার ফলে দুই বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়েছে। আমাদের এলাকার দুজন শ্রমিকের উপর হামলাও হয়েছে। তাই এদিন বাগানে নির্জল দের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।’ যদিও সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে নির্জল দে জানান, এই সব বিষয়ে আমি কিছু জানি না। যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাদেরকেই জিজ্ঞেস করেন।