খড়িবাড়ি: স্বাধীনতার পর আজও সরকারি সমস্তরকম সুবিধে থেকে বঞ্চিত নেপাল সীমান্তের গ্রাম ‘আন্তারাম ছাট’। রবিবার উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে দূরে থাকা এই গ্রামটি পরিদর্শন করেন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ কিশোরীমোহন সিংহ। এলাকার উন্নয়নে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। একদিকে নেপালের ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’, অন্যদিকে মেচি নদী। নেপাল সীমান্তের বিচ্ছিন্ন ভারতীয় ভূখণ্ডের মেচি নদীর তীরে ছোট গ্রামটির নাম ‘আন্তারাম ছাট’।
খড়িবাড়ি ব্লকের রানিগঞ্জ পানিশালী গ্রাম পঞ্চায়েতের এই গ্রামে মোট ৬৫টি পরিবারের বাস। এরমধ্যে ৩২টি আদিবাসী পরিবার। গ্রামে মোট ভোটার সংখ্যা ১১০। গ্রামের এক পাশে মেচি নদীর তীরে রয়েছে এসএসবির ৪১ নম্বর ব্যাটালিয়নের বাজারু ছাট বিওপি। অন্যদিকে, নেপালের ঝাপা জেলার সাতকাটি গ্রাম। সেখানে প্রহরায় রয়েছেন নেপালের সেনা জওয়ানরা। গ্রামবাসীদের অধিকাংশই দিনমজুরের কাজ করেন। গ্রামে কোনও রাস্তা নেই, নেই বিদ্যুতের ব্যবস্থা। শিশুদের পাঠশালা কিংবা উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মাত্র একজনের কপালে জুটেছে। কেউ আবাস যোজনার ঘর পাননি। বাড়ি বাড়ি শৌচালয় কিংবা হর ঘর জল এই গ্রামে এখনও স্বপ্ন। ভোট এলেই নাকি বিভিন্ন দলের নেতাদের আসা যাওয়া শুরু হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তবে এবার প্রথম সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়েছে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ।
আজ গ্রামটি পরিদর্শনে যান পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ কিশোরীমোহন সিংহ, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য জীবন নিরালা প্রমুখ। কিশোরীমোহন সিংহ গ্রামবাসীদের সমস্যার কথা শুনে স্বীকার করেন যে, এখনকার মানুষ এখনও ১০০ বছর পিছিয়ে রয়েছে। তিনি সরকারি সুযোগ দেওয়ার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপের আশ্বাস দেন।