উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জারি করা জাতীয় শিক্ষানীতি মানা হবে না পশ্চিমবঙ্গে, একথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্য সরকারকৃত শিক্ষা নীতি জারি করার জন্য গঠন করা হয়েছিল কমিটি। এবার সেই কমিটির প্রস্তাবিত শিক্ষানীতিকেই মান্যতা দিল রাজ্য সরকার। আজ অর্থাৎ শনিবার থেকেই নতুন শিক্ষানীতি শুরু হল রাজ্যে।
রাজ্যের পক্ষ থেকে জারি করা নতুন শিক্ষানীতিতে কি কি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক। নতুন শিক্ষানীতিতে বাচ্চাদের প্রি-প্রাইমারি পড়তে হবে ১ বছরের আর চার বছরের প্রাইমারি ক্লাস হবে। তাছাড়া বাকি যা নিয়ম ছিল তা একই থাকবে। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি, তারপর নবম-দশম শেষে মাধ্যমিক।পাশাপাশি একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শেষে হবে উচ্চমাধ্যমিক।কিন্তু উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হবে সিমেস্টার পদ্ধতি এবং এমসিকিউ ধাঁচে। অন্যদিকে তিন বছর থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের যাবতীয় অ্যাকাডেমিক রেকর্ড জমা থাকবে ক্লাউডে।
পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত বিদ্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের। ভবিষ্যতে যাতে পড়ুয়ারা সুবিধে পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এই সিধান্ত। সেইসঙ্গে জোর দেওয়া হচ্ছে মাতৃভাষা ও আঞ্চলিক ভাষার ওপর পাঠদানে। ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষাক্ষেত্রে আরও উৎসাহিত করে তুলতে প্রতিটি বিদ্যালয়ে আয়োজন করা হবে ‘গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি’র। উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে ছাত্র ছাত্রীদের যাতে কোন রকম অসুবিধে না হয়, তার জন্য যাবতীয় চিন্তা ভাবনা করেই নতুন শিক্ষানীতি চালু করছে রাজ্য সরকার।