উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিস্ফোরন কাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে শনিবার ভোররাতে ভূপতিনগরে হানা দেয় এনআইএ। সন্দেশখালির মতো সেখানেও আক্রান্ত হন এনআইএ আধিকারিকরা। এই হামলার নেপথ্যে বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। ঘটনার ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেই কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনলেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির চক্রান্তে ষড়যন্ত্র করেছে এনআইএ। এই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল।
তৃণমূলের অভিযোগ, ভূপতিনগরে এনআইএ মহিলাদের শ্লীলতাহানি করেছে। এনআইএ’র এই কাজের বিরুদ্ধে উত্তর দিনাজপুরের সভায় সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এনআইএ–বিজেপির গোপন আঁতাতের অভিযোগ আনলেন কুণাল ঘোষ। কুণালের স্পষ্ট অভিযোগ, বিজেপির কথায় কাজ করছে এনআইএ। আর টাকার বিনিময়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের নাম দিয়ে দিচ্ছে বিজেপি। তার পরই দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করছে এনআইএ। এটা আসলে গভীর ষড়যন্ত্র। বাংলা বিরোধী ষড়যন্ত্র করেছিল এনআইএ।
এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, গত ২৬ মার্চ এনআইএ’র এসপি ধনরাম সিংয়ের বাড়িতে বৈঠক করেছেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ওই বাড়িতে যান এই বিজেপি নেতা। সেখানেই বাংলার কোন তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের বাড়িতে এনআইএ হানা দেবে সেটার তালিকা দেওয়া হয়। আবার একটি সাদা প্যাকেটও এনআইয়ের ওই অফিসারকে দেন জিতেন্দ্র। সেই প্যাকেটে টাকা ছিল কি না তা পুলিশকে তদন্ত করে দেখতে বলেছেন কুণাল। তাঁর এই বক্তব্যের সমর্থনে এনআইএ’র এসপি ধনরাম সিংয়ের বাড়ির ভিজিটার বুকের কপি তুলে ধরেন কুণাল ঘোষ। যেখানে পরিষ্কার হয়ে যায় এনআইএ এসপির বাড়িতে গিয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সেখানে যে ঠিকানা লেখা হয়, তা কলকাতায় তাঁর মেয়ের বাড়ির ঠিকানা। কুণাল ঘোষ বলেন, ‘এনআইএ কালকে ভোর ৪টের সময় ঢোকে। আর স্থানীয় থানাকে জানায় ৫টা ৪৫ নাগাদ। মহিলাদের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করা হয়।’
কুণাল ঘোষের দাবি, ভোট ঘোষণার পর যখন নির্বাচনী আচরণবিধি জারি রয়েছে ঠিক তখনই বিজেপির সঙ্গে এনআইএ-র অর্থের লেনদেন হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতেই শনিবার ভোর রাতে ভূপতিনগরে হানা দেয় তদন্তকারীরা। তাই ধনরাম সিং-এর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হোক। ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ– বিজেপি যোগসাজশের সত্যতা নিয়ে কারও সংশয় থাকলে ভিডিয়ো রিলিজের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কুণাল। এবার তৃণমূল কংগ্রেস যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে।