উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: নয়ডার নিঠারি হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে ফাঁসির সাজা হয়েছিল দুই আসামির। মণীন্দ্র সিং পান্ধের এবং সুরেন্দ্র কোহলি নামে ওই দু’জনের ফাঁসির সাজা রদ করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। জানা গিয়েছে, সুরেন্দ্রকে ১২টি মামলায় এবং মণীন্দ্রকে দু’টি মামলায় ‘বেকসুর’ ঘোষণা করেছে উচ্চ আদালত। তাতেই তাঁদের ফাঁসির সাজা রদ হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৫-২০০৬ সাল নাগাদ নিঠারিতে একের পর যুবতী, কিশোর-কিশোরী নিখোঁজ হতে শুরু করে। তদন্তে নেমে ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর নিঠারির ব্যবসায়ী পান্ধেরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ১৯টি কঙ্কাল এবং কিছু দেহাবশেষ। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় দেশজুড়ে। তদন্তে উঠে আসে, শিশু, কিশোর-কিশোরীদের ওপর যৌন অত্যাচার চালিয়ে খুন করে তাদের দেহের অংশ প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে খেয়ে ফেলতেন পান্ধের এবং তাঁর বাড়ির পরিচারক সুরেন্দ্র। জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া কঙ্কালগুলির মধ্যে একটি ছিল বাঙালি তরুণীর। অভিযোগ, যৌন নির্যাতনের পর খুন করা হয় তাঁকে। এই মামলায় পান্ধের এবং কোহলিকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিল সিবিআই আদালত। নিঠারি কাণ্ডের ১৯টি মামলার মধ্যে তিনটি মামলা খারিজ হয়ে যায় যথেষ্ট প্রমাণের অভাবে। বাকি ১৬টি মামলার মধ্যে সাতটিতে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয় কোহলিকে। মণীন্দ্র জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন। পরে বাঙালি তরুণীর খুনের মামলায় তাঁকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।