তপন বকসি, মুম্বই: বলিউডের বিখ্যাত শিল্প নির্দেশক নীতিন দেশাইয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী নেহা দেশাই নীতিনকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগে মহারাষ্ট্রের রায়গড়ের পুলিশ স্টেশনে এডেলওয়েস অ্যাসেট রিকনস্ট্রাকশন এবং ইসিএল ফাইন্যান্স কোম্পানির পাঁচজন পদাধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন।
নেহা দেশাইয়ের এই লিখিত অভিযোগের মধ্যে এডেলওয়েস কোম্পানির চেয়ারম্যান রাশেশ শা, কেউর মেহতা, আর.কে.বনশল, স্মিত শা এবং জিতেন্দর কোঠারির নাম রয়েছে। ওই দুটি ফাইনান্স কোম্পানি এবং তাদের পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্রের রায়গড়ের খালাপুর পুলিশ স্টেশনে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, এই দুটি ফাইনান্স কোম্পানি এবং এই পাঁচজন পদাধিকারী নীতিন দেশাইকে আর্থিক ঋণ আদায়ের জন্য মানসিকভাবে অত্যাচার করেছে। ওই দুটি কোম্পানি এবং তাদের এই পদাধিকারীদের মানসিক অত্যাচারের জন্যই নীতিন আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
যতদূর জানা যাচ্ছে, নীতিন দেশাইয়ের কোম্পানি ‘এন ডি’স আর্টওয়ার্ল্ড প্রাইভেট লিমিটেড’ ২০১৬ এবং ২০১৮ সালে ১৮৫ কোটি টাকার দুটি ঋণ ইসিএল ফাইন্যান্স কোম্পানি থেকে নিয়েছিলেন। এরপর ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এই ঋণ শোধ করার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। ইসিএল কোম্পানি হল এডেলওয়েস গোষ্ঠীর একটি নন-ব্যাংকিং ফাইন্যান্স শাখা।
গত ২ অগাস্ট, বুধবার সকালে মুম্বাইয়ের অদূরে রায়গড় জেলার কারজাতে এনডি স্টুডিওয় নীতিন দেশাইয়ের মৃত্যুর পরেই রায়গর জেলার পুলিশ অফিসারেরা যখন এই ঘটনার তদন্তে আসেন, সেইসময় তারা নীতিন দেশাইয়ের রেকর্ডেড সুইসাইড মেসেজ উদ্ধার করেন। সেই রেকর্ডেড মেসেজে নীতিন দেশাই আর্থিক ঋণের ব্যাপারে তাকে মানসিকভাবে অত্যাচার করা চারজনের নাম সুস্পষ্ট ভাবে বলে গিয়েছেন। এই চারজনের নাম নীতিন দেশাইয়ের মোবাইল ফোনেও সেভ করা ছিল। নীতিন দেশাইয়ের এই রেকর্ডেড সুইসাইড মেসেজের ভিত্তিতে রায়গর জেলার পুলিশ এবং রায়গর পুলিশের ফরেনসিক টিম খোঁজখবর শুরু করেন।