উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য সরকার আর টাকা দেবে না ক্লাবের উন্নয়নে।অর্থাৎ ক্লাবগুলির পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য আর মিলবে না সরকারি টাকা, এমনই সিদ্ধান্ত নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিগত কয়েক বছর ধরে ক্লাবের উন্নয়নের জন্য যে টাকা দিত রাজ্য সরকার তার যথাযথ হিসেব দিতে পারেনি বহু ক্লাবই। আর উন্নয়নের খাতে অনুদান বন্ধের খবর যখন সামনে, ঠিক তখনই রাজ্য সরকারের দুর্গাপুজোর অনুদান দেওয়া নিয়ে বাঁকা মন্তব্য শোনা গেল বিচারপতি অমৃতা সিনহার গলায়ও।বিচারপতি অমৃতা সিংহ বলেন, ‘আমি অনেক মামলা শুনেছি, যেখানে মানুষ বেতন পাচ্ছেন না, চাকরি পাচ্ছেন না, পেনশন পাচ্ছে না। আর পুজো কমিটিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে!’ যদিও নবান্ন বলছে বিচারপতির মন্তব্যের সাথে ক্লাবেকে টাকা না দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।
নবান্ন সূত্রে জানা যায়, ৭৮১টি ক্লাব অনুদান পেয়েছিল প্রথম বছর। সেই খাতে রাজ্যের বরাদ্দ ছিল ১৫ কোটি টাকা।পরের বছর অন্তর্ভুক্ত করা হয় আরও ১৫০০ ক্লাবকে।এর জন্য অতিরিক্ত ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করতে হয়েছিল রাজ্যকে।এই প্রকল্পের জন্মলগ্ন থেকেই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে আসছে তৎকালীন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র, আব্দুল মান্নান। পরবর্তীকালে সমালোচকদের তালিকায় নাম জুড়ে যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।শুভেন্দু অভিযোগ করে বলেন, ‘এই প্রকল্প মারফত ক্লাব সংগঠনগুলির রাজনীতিকরণ করা হয়েছে। কারণ, অনুদান পেতে নতুন ক্লাব সংগঠনগুলির নাম নথিভুক্ত করতে দায়িত্ব দেওয়া হয় শাসকদলের বিধায়কদের।’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার ঠিক পরের বছর ক্লাবগুলির পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য আর্থিক অনুদান ঘোষণা করেন তিনি। বাছাই করা ক্লাবগুলি প্রথম বছরে এককালীন ২ লাখ টাকা এবং পরবর্তী ৩ বছর ১ লাখ করে মোট পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হত। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে এই প্রকল্পে অর্থ দেওয়ার কাজ স্থগিত রাখা হয় রাজ্যের তরফে। সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, এই অনুদান আর দেওয়া হবে না।