বানারহাট: ধূপগুড়িতে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভা। ঠিক সেই মুহূর্তে মজুরির দাবিতে ভারত-ভুটান সড়ক অবরোধ করলেন মহিলা চা শ্রমিকরা। রবিবার সকাল ৮টা থেকে কেন্দ্রীয় সরকার অধিগৃহীত অ্যান্ড্রু ইউল গ্রুপের নিউ ডুয়ার্স চা বাগানে শ্রমিকরা অবরোধে শামিল হন। শ্রমিকেরা জানান, দীর্ঘ ৭ সপ্তাহ ধরে তারা তাঁদের কাজের মজুরি পাচ্ছেন না। এমনকি, পিএফের টাকাও বিগত ১১ মাস ধরে জমা পড়ছে না। সমস্যার সমাধান না হলে তাঁরা কাউকেই ভোট দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন।
এদিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা রয়েছে ধূপগুড়িতে। তাঁর আগে ওই শ্রমিকদের বিক্ষোভ বিজেপিকে যে বেকায়দায় ফেলল এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দিব্যা মাঝি নামে এক শ্রমিক বলেন, ৭ সপ্তাহের মজুরিই শুধু নয়। বর্ধিত মজুরির এরিয়ারের টাকাও বাকি আছে। ম্যানেজারের কাছে চাইতে গেলে শুধু বলে ওপর থেকে আসেনি। আমরা তবে যাব কোথায়? আমাদের সমস্যার সমাধান না হলে কাউকে ভোট নয়। করিশমা ওরাওঁ নামে আরেক মহিলা শ্রমিক বলছেন, এভাবে এখানে বেঁচে থাকাই দুষ্কর। একমাত্র যে আমাদের সমস্যার সমাধান করবে আমরা তাঁকেই ভোট দেব।
এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করছে তৃণমূল কংগ্রেস। চা শ্রমিকদের জন্য কেন্দ্র সরকার কি করেছে ধূপগুড়ির জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী এব্যাপারে মুখ খুলুক। এমনটাই চাইছে রাজ্যের শাসক দলের নেতারা। যুব তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সভাপতি সন্দীপ ছেত্রী বলেন, উনি নিজেকে বারবার চা ওয়ালা বলেন। তাঁর জানার কথা কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা এন্ড্রুইউ ইউলের আওতাধীন চা বাগানগুলির শ্রমিকরা গত ৭ সপ্তাহ ধরে মজুরি পাচ্ছেন না। আশা করছি প্রধানমন্ত্রী এব্যাপারে মুখ খুলবেন। মোদি চা শ্রমিক সহ চা শিল্পের জন্য কি করেছেন সেব্যাপারেও তাঁকে মুখ খুলতে হবে।
বিজেপির চা বাগান শ্রমিক সংগঠন নেতা জয় রাজ বিশ্বকর্মা বলেন, ‘বাগানে সমস্যা রয়েছে, তবে এই মুহূর্তে মোদির সভায় ব্যাস্ত রয়েছি পরে বিষয়টি দেখবো।’ ওপর দিকে বিজেপির জেলা সম্পাদিকা পুনীতা ওরাও লাকড়া, এই বিষয়ে এখন কোনও মন্তব্য করতে চান না বলেই সাফ জানায়, এছাড়া তিনি বলেন, মোদীর সভার শেষের পর বিষয়টি দেখবো।’