নয়াদিল্লি: ইউপিএ জমানায় কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন পূর্বতন মনমোহন সিং সরকারের উচিত ছিল মহিলা সংরক্ষণ বিল প্রণয়ন করে তার মধ্যে আলাদা করে ওবিসি কোটার সংরক্ষণ প্রদান করা৷ কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। সে সময়ে এই পদক্ষেপ গ্রহণ না করার জন্য, শুক্রবার প্রকাশ্যে দু:খপ্রকাশ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি।
শুক্রবার নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস সদর দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলন করে মহিলা সংরক্ষণ বিলের প্রয়োগ নিয়ে মোদি সরকারকে নিশানা করে রাহুল বলেন, ‘আগের কংগ্রেস সরকার মহিলা সংরক্ষণ বিলে ওবিসি কোটা নির্ধারণ করেনি তার জন্য আমি ১০০ শতাংশ অনুতপ্ত। এটা করা উচিত ছিল৷ আমরা এটা করেই ছাড়ব।’ উল্লেখ্য, ২০১০ সালে ইউপিএ ২ জমানায় মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস হয়েছিল রাজ্যসভায়৷ তারপরেও লোকসভায় বিলটি আটকে যায় সপা, বসপা, আরজেডির মত দলের তরফে তোলা ওবিসি সংরক্ষণের দাবিতে৷ সেই সময় যদি ইউপিএ সরকার মহিলা সংরক্ষণ বিলের আওতায় ওবিসিদের জন্য আলাদা করে সংরক্ষণ প্রদান করত, তাহলে আজ মহিলা বিল পাস করিয়ে নিচ্ছে বিজেপি, এই দিন দেখতে হতো না, এটা বুঝতে পেরেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব৷
এদিন, সংসদের বিশেষ অধিবেশনে পাস হওয়া মহিলা সংরক্ষণ বিল ও তার বাস্তবিক প্রয়োগ নিয়ে রাহুল তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে ছিলেন, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইন তৈরি হবে, তাতে আমরা সম্মত হই৷ মহিলা সংরক্ষণ বিল দেশের মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য খুব জরুরি বলেই আমরা সরকারের প্রস্তাবে সম্মতি জানাই৷ কিন্তু সমস্যা হল বিলটির বাস্তবায়ন নিয়ে।দশ বছর পরে বিলটি কার্যকর হবে কেন? এই প্রসঙ্গে ওবিসি কোটার সংরক্ষণ ছাড়া মহিলা সংরক্ষণ বিল অসম্পূর্ণ, মহিলা সংরক্ষণ বিল প্রয়োগের আগে প্রথমে জাতিগত জনগণনা করতে হবে৷ গোটা দেশে ওবিসি কত, আদিবাসী কত তা নির্ণয় করতে হবে৷ আগে ডেটা, পরে সিদ্ধান্ত।অনেকে বলেন আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশের বেশি ওবিসি৷ সঠিক কত, কেউ জানে না৷ এই বিষয়ে কোনও ডেটাই নেই আমাদের সামনে৷ তাহলে এই বিরাট সংখ্যক ওবিসি শ্রেণীর জন্য সংরক্ষণ প্রদান করে হবে কিভাবে?’
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট ক্ষমতায় এলে কি হবে? তখন কি মহিলা সংরক্ষণ বিলকে সঙ্গে সঙ্গেই লাগু করা হবে? এই প্রশ্নের সরাসরি জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন রাহুল৷ দেশের পরিচালনভার হাতে তুলে নেওয়া ৯০ জন কেন্দ্রীয় সচিবের মধ্যে কেন মাত্র ৩ জন ওবিসি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হবে, এই প্রশ্ন তুলে রাহুলের পাল্টা দাবি, ‘সরকার চাইছে না দেশের সব আইনসভায় মহিলা সংরক্ষণ করতে, চাইলে এখনই হতে পারে এই সংরক্ষণ৷ এহেন ওবিসি সংরক্ষণ, জাতিগত জনগণনা এবং আদানি ইস্যু থেকে নজর ঘোরানোর জন্যই মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে এসেছে সরকার৷ এরা চাইছে দেশের মহিলাদের ক্ষমতায়ন না করে আদানিজির হাতে সব ক্ষমতা তুলে দিতে৷ এটা আমরা মানবো না৷’ রাহুলের জোর দিতে বলেন, ‘১০ বছর পরে নয়, অবিলম্বে লাগু করা হোক মহিলা সংরক্ষণ বিল যেখানে দেশের জনসংখ্যার অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে।’ বুধবারের পর বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল। এবার রাষ্ট্রপতির সাক্ষর হলেই তা দ্রুত আইনে রূপান্তরিত হবে।
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: গ্রীষ্মকাল মানেই আমের মরশুম। তাই শুধু শুধু আম না খেয়ে, পাকা…
কিশনগঞ্জ: এক দম্পতির রহস্যমৃত্যু (Death Case) ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল বিহারের (Bihar) পূর্ণিয়ায় (Purnia)। স্ত্রীকে শ্বাসরোধ…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভারত সহ আরও কিছু দেশকে ‘জেনোফোবিক’…
আসানসোল: অভিযান চালিয়ে একটি হোটেল থেকে বিরল প্রজাতির একটি তক্ষক (Tokay Gecko) উদ্ধার করল আসানসোল…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: প্রজ্জ্বল রেভান্নার (Prajwal Revanna) পর এবার পুলিশের নজরে বাবাও। শনিবার গ্রেপ্তার…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ঘরের মাঠে স্বপ্নভঙ্গ। আইএসএলে(ISL) ট্রফি জেতার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল মোহনবাগানের।…
This website uses cookies.