বর্ধমানঃ ওডিশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ের সবথেকে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৬০ ছাড়িয়েছে। জখমের সংখ্যাটাও ছয় শতাধিক। সেই জখমদের তালিকায় রয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর ব্লকের একাধীক পঞ্চায়েত এলাকার ৮ জন রয়েছেন। তারা এখন ওডিশার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মন্তেশ্বরের বিডিও গোবিন্দ দাস জানিয়েছেন, মন্তেশ্বর ব্লকের তিনজন বাসিন্দা রয়েছেন যাঁরা দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনার পর থেকে বহু চেষ্টা করেও পরিবারের লোকজন কোনওভাবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। বিষয়টি তিনি প্রশাসনকে জানিয়েছেন। বিডিও কাছ থেকে এই তথ্য পেয়ে জেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের তৎপরতা শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, ট্রেন দুর্ঘটনায় জখমরা মন্তেশ্বর, বামুনপাড়া ও মামুদপুর এলাকার বাসিন্দা। এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ২০ জন বাসিন্দা দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে জখম হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত এলাকায় ৬ জন। যে তিনজনের সঙ্গে পরিবারের লোকজন কোনভাবেই যোগাযোগ করতে পারছেন না তাঁরা মন্তেশ্বর ,বামুনপাড়া ও মামুদপুর ১ পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। দুর্ঘটনার মধ্যেও বরাত জোরে রক্ষা পেয়ে যাওয়া মন্তেশ্বরের জামনা পঞ্চায়েত এলাকার দু’জন বাসিন্দা বাড়ি ফিরে আসছেন। আর মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত এলাকার ৫ জন ও মামুদপুর ১ পঞ্চায়েত এলাকার ২ জন বাসিন্দা দুর্ঘটনায় রক্ষা পেয়ে যাবার পর থেকে সেখানকার আরপিএফ ক্যাম্পে রয়েছে বলে বিডিও জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন।
বিডিও গোবিন্দ দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মন্তেশ্বর ব্লকের যাঁরা জখম হয়েছেন, নিখোঁজ রয়েছেন বা আরপিএফ ক্যাম্পে রয়েছেন তাঁরা সকলেই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন বলেই তিনি জানতে পেরেছেন। তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়েছেন বলে বিডিও জানান। পাশাপাশি তিন এও জানান মন্তেশ্বরের ভালুচার একজন বাসিন্দা ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন এমন খবর এদিন সকালে এসেছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে বলে বিডিও জানিয়েছেন।
বর্ধমান জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা জানিয়েছেন,“এখনও পর্যন্ত কাটোয়া ২ ব্লকের এক জনের ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ব্যক্তি করমণ্ডল এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন। কাটোয়া ছাড়াও দুর্ঘটনাগ্রস্তদের মধ্যে মন্তেশ্বর, মঙ্গলকোট ও মেমারির বাসিন্দারাও রয়েছে।” রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, আমিও বিস্তারিত খোঁজ খবর নিচ্ছি। দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবার গুলির পাশে আমাদের সরকার রয়েছে।