মাদারিহাট: বহু চেষ্টার পরেও মা হাতিকে (Elephant) বাঁচাতে পারেননি আপালচাঁদ রেঞ্জের বনকর্তারা। শেষ পর্যন্ত ওই অনাথ হস্তীশাবকের (Baby Elephant) ঠাঁই হল জলদাপাড়ার (Jaldapara) হলং সেন্ট্রাল পিলখানায়। রবিবার বিকালে তাকে নিয়ে আসা হয়েছে।
চিকিৎসক উৎপল শর্মার তত্ত্বাবধানে ও বনাধিকারিক পারভিন কাশোয়ানের নেতৃত্বে শাবকটির পরিচর্যা চলছে। পারভিন বলেন, ‘শাবকটির বয়স ৭ থেকে ৮ মাস। আপাতত তাকে বাইরের দুধ সহ অন্যান্য প্রোটিন জাতীয় খাবার দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত গরমের জন্য আমরা বিশেষ পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা রেখেছি। তাকে কোনও মা হাতির সংস্পর্শে আনার চেষ্টা করছি। কারণ এত ছোট শাবকের সবার আগে প্রয়োজন মাতৃদুগ্ধ।’
বৈকুণ্ঠপুর ডিভিশনের আপালচাঁদ রেঞ্জের মা হাতিটি বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিল। প্রায় ২০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে শনিবার সে মারা যায়। শাবকটিকে বাঁচাতে সেখানকার বনকর্তারা সেটিকে জলদাপাড়ায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।
হলং (Hollong) সেন্ট্রাল পিলখানাকে অনাথ শাবকদের আঁতুড় বলা হয়। সংকটজনক অবস্থায় এখানে নিয়ে আসা অনাথ শাবকদের প্রায় ৯৯ শতাংশকে এখানকার বনকর্তা ও চিকিৎসকরা সুস্থ করে বাঁচিয়ে রাখতে সফল হয়েছেন। তাঁরা আশা করছেন এই মা হারা শাবকটিকেও তাঁরা দ্রুত সুস্থ করে তুলবেন। প্রাণী চিকিৎসক জানিয়েছেন, সদ্য নিয়ে আসা শাবকটির ডিহাইড্রেশন হয়েছে। ৭২ ঘণ্টা না গেলে ওর শরীরের পরিস্থিতি বোঝা যাবে না।