উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: পদ্মভূষণ সম্মানে (Padma Bhushan Award) ভূষিত হলেন বাংলার অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। ১১০ জন পদ্মশ্রী সম্মান প্রাপকদের মধ্যে রয়েছেন আটজন বাঙালিও। বৃহস্পতিবার পদ্ম সম্মান প্রাপকদের তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পদ্মবিভূষণ পেয়েছেন বেঙ্কাইয়া নাইডু, দক্ষিণী অভিনেতা চিরঞ্জীবী এবং অন্যান্য ব্যক্তিত্ব। পদ্মভূষণ পেয়েছেন বাংলার শিল্পী ঊষা উত্থুপও। মরণোত্তর পদ্মভূষণ পেয়েছেন বাংলার সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়।
বাংলার আটজন পদ্মশ্রী প্রাপকরা হলেন পুরুলিয়ার আদিবাসী পরিবেশকর্মী দুখু মাজি এবং ছৌ নাচের মুখোশ শিল্পী নেপালচন্দ্র সূত্রধর। যদিও ২০২৩ সালের প্রয়াত হয়েছেন নেপালচন্দ্র সূত্রধর। তিনি মরণোত্তর সম্মান পাবেন। এছাড়াও বাংলার পদ্মশ্রীদের তালিকায় রয়েছেন কলকাতার মৃৎশিল্পী সনাতন রুদ্র পাল এবং বীরভূমের ভাদু শিল্পী রতন কাহার। বাংলা থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের পদ্মশ্রী পেয়েছেন একলব্য শর্মা এবং নারায়ণ চক্রবর্তী। শিল্পে পদ্মশ্রী প্রাপকের নাম তাকদিরা বেগম এবং গীতা রায় বর্মন। এ বছর মোট পাঁচজনকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পদ্মবিভূষণ প্রদান করা হয়েছে। চিরঞ্জীবী, বেঙ্কাইয়া নাইডু ছাড়াও এই সম্মান পেয়েছেন তামিলনাড়ুর বিজয়ন্তীমালা বালি, বিহারের সমাজকর্মী বিন্দেশ্বর পাঠক (মরণোত্তর), তামিলনাড়ুর পদ্ম সুব্রহ্মনিয়ম।
পদ্মভূষণ দেওয়া হয়েছে ১৭ জনকে। এটি কেন্দ্রের তৃতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান। এই তালিকায় রয়েছেন কেরলের এম ফতিমা বিভী (মরণোত্তর), মহারাষ্ট্রের সাহিত্য সাংবাদিক হরমুসজি এন কামা, কর্ণাটকের শিল্পপতি সীতারাম জিন্দল, মহারাষ্ট্রের চিকিৎসক অশ্বিনী বালচাঁদ মেহতা, মহারাষ্ট্রের রাম নায়েক, গুজরাটের চিকিৎসক তেজস মধুসূদন পটেল, কেরলের ওলানচেরি রাজাগোপাল, মহারাষ্ট্রের দত্তত্রয় অম্বদাস মায়ালু ওরফে রাজদূত, লাদাখের তোগদান রিনপোচে (মরণোত্তর), মহারাষ্ট্রের পেয়ারেলাল শর্মা, বিহারের চন্দ্রেশ্বর প্রসাদ ঠাকুর, তামিলনাড়ুর বিজয়কান্ত (মরণোত্তর) এবং মহারাষ্ট্রের কুন্দন ব্যাস। এক বিদেশিকেও পদ্মভূষণ সম্মান দেওয়া হয়েছে। এই সম্মান পেয়েছেন ফক্সকনের সিইও তাইওয়ানের বাসিন্দা ইয়ুং লিউ।