উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর আমাদের’, বুধবার সংসদে দাঁড়িয়ে এমনই হুংকার দিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা। ২০২৩ সালের জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ (সংশোধনী) বিল এবং ২০২৩ সালের জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস বিল নিয়ে আলোচনার সময় অমিত শা বলেন, ‘পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় ২৪টি আসন আমরা সংরক্ষিত রেখেছি। মনোনীত সদস্যদের তালিকায় পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের একজন প্রতিনিধিকেও রাখা হচ্ছে। যে হুংকারের পরেই লোকসভায় হাততালির ঝড় ওঠে।
২০২৩ সালের জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস বিল প্রসঙ্গে লোকসভায় নিজের ভাষণে শা জানান, ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেটার জন্য ভূস্বর্গের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। সেদিন জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত যে কতটা সঠিক ছিল, সেই ব্যাখ্যা দেন শা।
জানা গিয়েছে, জম্মুতে আগে ৩৭টি আসন ছিল। এখন ৪৩টি আসন হয়েছে। কাশ্মীরে আগে ৪৬টি আসন ছিল। এখন ৪৭ হয়েছে। আর পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য ২৪টি আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। আগে সবমিলিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় ১০৭টি আসন ছিল। এখন সেটা বেড়ে হচ্ছে ১১৪। এছাড়াও জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় মনোনীত সদস্যের সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে। আগে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় মনোনীত সদস্যের সংখ্যা ছিল দুই। এবার থেকে পাঁচজন মনোনীত সদস্য থাকবেন। জম্মু ও কাশ্মীরের ১৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী, দুই মহিলাকে মনোনীত করেন রাজ্যপাল। এবার থেকে সেটায় কাশ্মীরের দুই বাসিন্দাকে রাখা হবে। তাঁদের মধ্যে একজন মহিলা হবেন। আর পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের একজনের জন্য মনোনীত প্রার্থীদের একটি আসন সংরক্ষিত রাখা হবে।