উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: কাতারে ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন অফিসার ও কর্মী মিলিয়ে ৮ জনের গ্রেপ্তারির পেছনে রয়েছে পাকিস্তান! এনিয়ে প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইজরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইতিমধ্যেই তাঁদের ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে কাতারের আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৩০ অগাস্ট রাতে ইজরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার অভিযোগে এই আটজনকে হেপাজতে নেওয়া হয়। এরপর থেকে অসংখ্যবার এদের জামিনের আবেদন নাকচ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করে ভারত সরকার। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। গতকাল কাতারের ফার্স্ট ইনস্ট্যান্স কোর্টের তরফে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা হওয়ায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। এদিকে গত বছর এই আটজনকে গ্রেপ্তার এবং ৭০ দিন জেলবন্দি রাখার খবর সবার আগে ফাঁস হয় পাক মিডিয়ায়। শুধু তাই নয়, ইজরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির কথাও প্রথমবার প্রকাশ করেন তাঁরা। এই ঘটনাতেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় গোয়েন্দা ও আধিকারিকরা। তাঁদের প্রশ্ন, এতো দ্রুত এই খবর কীভাবে পেল পাক মিডিয়া? তবে কি গ্রেপ্তারির নেপথ্যে ছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই?
গোয়েন্দাদের অনুমান, এই ৮ জনকে ফাঁসির সাজা দিতে কাতার কর্তৃপক্ষকে প্রভাবিতও করেছেন তাঁরা। এই ঘটনায় ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার নামও জড়িয়েছে পাক মিডিয়া। তাঁদের দাবি, ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন কর্মীরা এই সংস্থার হয়ে ইজরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছিলেন। যদিও তা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। তবে ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, পাক মিডিয়ায় যে খবরগুলি প্রকাশিত হচ্ছে, সেগুলির কোনও ভিত্তি নেই। ভারতের গায়ে কালি ছেটাতে কাল্পনিক গল্প লেখা হয়েছে। এদিকে কাতারে সাজাপ্রাপ্তদের বাঁচাতে চেষ্টা করছে ভারত সরকার। আইনগত বিকল্প খতিয়ে দেখছেন বিদেশ মন্ত্রকের কর্তা-ব্যক্তিরা। কাতারের আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ভারত আন্তর্জাতিক কোর্টে যেতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।