গঙ্গারামপুর: পঞ্চায়েত ভোটে দলীয় কর্মীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। বিনা কারণে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এমন অভিযোগ তুলে সরব হল বিজেপি। সোমবার গঙ্গারামপুর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে এলাকাজুড়ে।
শনিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে গঙ্গারামপুর ব্লকের ঠ্যাঙাপাড়া, রাঘবপুর, জয়দেবপুর, হাপুনিয়া সহ বেশ কয়েকটি এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিভিন্ন জায়গায় বুথ জ্যাম, ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ভোটের দিন সন্ধ্যায় ছাপ্পা ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে গঙ্গারামপুর ব্লকের পঞ্চগ্রাম উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গুলিবিদ্ধ হন ১৮ নম্বর আসনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নূর আমিন মিয়াঁ। বর্তমানে তাঁর চিকিৎসা চলছে কলকাতায়। ঘটনার পর গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ বিজেপির দুই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল রাতে মহারাজপুর এলাকার বিজেপি কর্মী নারান সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর এদিন বিজেপি নেতা-কর্মীরা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে দলীয় কর্মীকে মুক্তি দেবার দাবি তোলেন।
বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, তাঁদের কর্মীদের ওপর যারা অত্যাচার করছে, বাড়ি ভাঙচুর করছে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। অথচ নির্দোষ বিজেপি কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এদিন থানা ঘেরাওয়ের আগে কালিতলার দলীয় কার্যালয় থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। এরপর শহরে চৌপথি এলাকা ঘুরে থানায় এসে হাজির হয়। বিজেপি নেতা-কর্মীরা থানার ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এরপর পাঁচ জনের এক প্রতিনিধির দল আইসির কাছে গিয়ে স্মারকলিপি তুলে দেন। কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরুপ চৌধুরি, বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদ প্রার্থী প্রদীপ সরকার, জেলা সাধারণ সম্পাদক অশোক বর্ধন, গঙ্গারামপুর শহর মণ্ডল সভাপতি বৃন্দাবন ঘোষ সহ আরও অনেকে।
