ক্রান্তি: পঞ্চায়েত ভোটের আগে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ক্রান্তি ব্লকের রাজাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ হাঁসখালি এলাকা। দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৭ জন। এর মধ্যে একজন গুরুতর জখম অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং একজন শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দু’পক্ষই ক্রান্তি পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ হাঁসখালিতে সিপিএম-তৃণমূল দুই দলের মধ্যে বচসা শুরু হয়। সেই বচসা ক্রমে হাতাহাতিতে পরিণত হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, সিপিএম কর্মীরা তাঁদের দলের লোকজনকে মারধর করেছে। দলীয় কর্মীর বাড়ি এবং নির্বাচনি অস্থায়ী কার্যালয় ভাঙচুর করে। অপরদিকে, সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকরা বহিরাগত লোকেদের এলাকায় ঢুকিয়ে গণ্ডগোল তৈরির চেষ্টা করছে। তাঁদের দলের কর্মীকে গালিগালাজ ও বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। এরই প্রতিবাদে সিপিএম কর্মী-সমর্থকরা জড়ো হয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। দু’দলের এই সংঘর্ষে তৃণমূলের ৪ জন ও সিপিএমের ৩ জন আহত হয়েছেন। গতকাল রাতে আহত তৃণমূল কর্মীদের মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাড়ি ফিরে তৃণমূল কর্মী লতা বেগম পুনরায় অসুস্থ বোধ করলে তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সিপিএমের একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
রাজাডাঙ্গা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মিন্টু রায় জানান, সিপিএম উসকানিমূলক কথা বলে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। প্রশাসনের কাছে অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। সিপিএমের জেলা কমিটির সম্পাদক আবেদ আলি বলেন, ‘তৃণমূল বহিরাগত লোকেদের এনে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছে। আমাদের ৩ জন কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। এরমধ্যে একজন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।’ ভোটের আগে এমন ঘটনাকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও পুলিশ প্রশাসনের তরফে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। ক্রান্তি পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মনসুরউদ্দিন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।